এবিএনএ : রবিবার সকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলোম্বোয় পৌঁছান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন হঠাৎই তিনি ইস্টার সানডের দিনে হামলায় বিধ্বস্ত সেন্ট অ্যান্থনি গির্জায় যান। সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, “কাপুরুষের মতো সন্ত্রাসবাদী হামলা শ্রীলঙ্কার শক্তি দমন করতে পারবে না। সহানুভুতির সঙ্গে শ্রীলঙ্কার মানুষের পাশে রয়েছে ভারত”। এনডিটিভি। ইস্টার সানডের দিনে শ্রীলঙ্কায় হামলায় মৃত্যু হয় ২৫০-এরও বেশী মানুষের। আইএস এবং স্থানীয় জিহাদি সংগঠন ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত ওই হামলার দায় স্বীকার করে। হামলার পর শ্রীলঙ্কার প্রতি সহাননুভতির পদক্ষেপ হিসাবেই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বলে মনে করা হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়াইয়ে ভারত দ্বীপ রাষ্ট্রটির পাশে রয়েছে বলে বার্তা দেন মোদী।
মলদ্বীপের পর রবিবার সকালে কলোম্বোয় পৌঁছালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে বন্দরনায়েক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে। শ্রীলঙ্কা পৌঁছানোর পরেই সরকারিভাবে রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। অনুষ্ঠানের সময় দেখা যায়, বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য লঙ্কান রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিলিপালা সিরিসেনা তাঁর নিজের এবং মোদীর মাথায় ছাতা ধরে রেখেছেন।
শ্রীলঙ্কায় ৯টি আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। ফলে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় কলোম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি গির্জা, নেগাম্বোর সেন্ট সেবাস্টিয়ান গির্জা এবং বাট্টিকোলার আরেকটি গির্জা, পাশাপাশি তিনটি হোটেলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলা এড়ানো যেত, এই মর্মে তদন্তকারীদের কাছে স্বীকারোক্তির পরেই গোয়েন্দা প্রধানকে বরখাস্ত করেন রাষ্ট্রপতি সিরিসেনা।
২১ এপ্রিল হামলার পর, শ্রীলঙ্কার গোয়েন্দা সংস্থার কাছে একাধিক সতর্কবার্তা পাঠায় ভারত।শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে এবং রাষ্ট্রপতি মৈথিলিপালা সিরিসেনা জানান, সেই তথ্য সবাইকে ঠিকমতো জানানো হয়নি। চীনের প্রভাব ক্রমশ বাড়ায় শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ সফর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর। মালদ্বীপে, একটি উপকূল রাডার সিস্টেম এবং মিলিটারি ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধন করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করেন তিনি।