খেলাধুলা

শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে শুরু বাংলাদেশের

এবিএনএ : ডাম্বুলায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে একরকম উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের ৯০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩২৪/৫। শ্রীলঙ্কা: ৪৫.১ ওভারে ২৩৪।

পেরেরাকে ফিরিয়েই জয়ের আনন্দ: ঝোড়ো ফিফটি করে বাংলাদেশের জয়ের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন থিসারা পেরেরা। তবে তাকে ফিরিয়েই জয়ের আনন্দে মাতে বাংলাদেশ দল। মুস্তাফিজের বলে মাহমুদউল্লাহকে ক্যাচ দেন ৩৫ বলে ৫৫ রান করা পেরেরা।

আরো কাছে বাংলাদেশ: অষ্টম উইকেটে থিসারা পেরেরা ও সুরঙ্গা লাকমালের ৩৭ রানের জুটিটা বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে বিঁধেছিল। তবে এ জুটি ভেঙে সেই কাঁটা সরান মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসার দিয়েছিলেন কাটারে, ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বল আকাশে উঠিয়ে দেন লাকমাল। মিড অনে সহজ ক্যাচ নেন সাব্বির রহমান। শ্রীলঙ্কার স্কোর তখন ৮ উইকেটে ২০৮।

ফিরেই মাশরাফির উইকেট: দ্বিতীয় স্পেলে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই উইকেট নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার অফ স্টাম্পের বল তুলে মেরেছিলেন সাচিথ পাথিরানা। কাভারে সহজ ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ। পাথিরানা করেন ৩১। শ্রীলঙ্কার স্কোর তখন ৭ উইকেটে ১৭১।

সিরিবর্ধনাকে ফেরালেন মুস্তাফিজ: আগের বলেই বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন মিলিন্ডা সিরিবর্ধনা। পরের বলেই প্রতিশোধ নেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসারের শর্ট বলে পুল শট খেলেছিলেন সিরিবর্ধনা। অনেকটা দৌড়ে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে দারুণ এক ক্যাচ নেন দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে ফিল্ডিং করা শুভাগত হোম। ম্যাচে এটি শুভাগতর দ্বিতীয় ক্যাচ! সিরিবর্ধনা করেন ২২। শ্রীলঙ্কার স্কোর তখন ৬ উইকেটে ১৫৩।

চান্দিমাল-বাধা সরালেন মিরাজ: চাপের মধ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন দিনেশ চান্দিমাল। তবে দলের আস্কিং রান রেট বেড়েই যাচ্ছিল। সেই চাপেই ভেঙে পড়লেন চান্দিমাল। অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে খেলতে গেলেন সুইপ। কিন্তু টপ-এজ হয়ে বল উঠে গেল শর্ট ফাইন লেগে। বল হাতে জমাতে কোনো ভুল হলো না সৌম্য সরকারের। চান্দিমাল ফেরেন ৫৯ রান করে। শ্রীলঙ্কার স্কোর তখন ৫ উইকেটে ১২১।

চান্দিমালের ফিফটি: যখন উইকেটে এলেন, ১৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে দলে। সেখান থেকে দারুণ এক ফিফটি তুলে নেন দিনেশ চান্দিমাল। মেহেদী হাসান মিরাজকে চার হাঁকিয়ে ৬২ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন লঙ্কান ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

প্রতিরোধ ভাঙলেন সাকিব: সাকিব আল হাসানের অফ স্টাম্পের বলে রিভার্স সুইপ করেছিলেন আসেলা গুনারত্নে। তবে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দারুণ এক নিচু ক্যাচ নেন মোসাদ্দেক হোসেন। তাতে ভাঙে ৫৬ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। গুনারত্নে করেন ২৪। শ্রীলঙ্কার স্কোর তখন ৪ উইকেটে ৮৭।

চান্দিমাল-গুনারত্নে জুটির পঞ্চাশ: ৩১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন দিনেশ চান্দিমাল ও আসেলা গুনারত্নে। ২১তম ওভারে গুনারত্নে মুস্তাফিজুর রহমানকে চার মেরে জুটির পঞ্চাশ পূর্ণ করেন। গুনারত্নের রান তখন ২১, চান্দিমালের ৩৩, আর শ্রীলঙ্কার ৩ উইকেটে ৮২।

তৃতীয় উইকেটের পতন : তাসকিন আহমেদের করা ইনিংসের ১১তম ওভারের শেষ বলে মাশরাফির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরত যান উপুল থারাঙ্গা। লঙ্কান অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ১৯ রান। শ্রীলঙ্কার স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৩১।

দ্বিতীয় উইকেটের পতন : মেহেদী হাসান মিরাজের করা ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে উড়িয়ে মারেন কুশল মেন্ডিস। কিন্তু লং অনে তার ক্যাচটি তালুবন্দি করেন বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামা শুভাগত হোম চৌধুরী। দলীয় ১৫ ও ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট হন মেন্ডিস।

প্রথম উইকেটের পতন : উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাট করতে নামেন দানুস্কা গুনাথিলাকা ও উপুল থারাঙ্গা। ইনিংসের তৃতীয় বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান গুনাথিলাকা। বোলার ছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। গুনাথিলাকা মেরেছেন ডাক। শ্রীলঙ্কার স্কোর তখন ১ উইকেটে শূন্য!

এর আগে তামিম ইকবালের ১২৭, সাকিব আল হাসানের ৭২, সাব্বির রহমানের ৫৪ ও মোসাদ্দেক হোসেনের অপরাজিত ২৪ রানে ভর করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২৪ রান সংগ্রহ করে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। সব মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button