আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

রোহিঙ্গারা বাঙালি : মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানাল মিয়ানমার

এবিএনএ : ‘রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের স্থানীয় অধিবাসী নয়। শরণার্থীদের পালিয়ে যাওয়ার সংখ্যা গণমাধ্যমগুলো অতিরঞ্জিতভাবে প্রচার করছে।’ রাখাইনের রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে এক বৈঠকে মিয়ানমারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে এসব তথ্য জানান দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের পেইজে দেয়া এক পোস্টে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের তথ্য জানান তিনি।

বৈঠকে রাখাইনের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিয়ে আলোচনা হলেও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে সেবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি এই জেনারেল।

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী হচ্ছেন সেনাপ্রধান হ্লেইং। রাখাইনে সেনাবাহিনীর অভিযান ঘিরে তার অনমনীয় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক নিন্দা ও নোবেল জয়ী সু চির নেতৃত্বে দেশটির গণতান্ত্রিক যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

মিয়ানমারে সামরিক অভিযান এখনো জনপ্রিয়; দেশটিতে রোহিঙ্গাদের জন্য সহানুভূতি নেই বললেই চলে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিয়ানমারে বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীদের উত্থান ঘটেছে।

হ্লেইং রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা এই সমস্যার জন্য দায়ী। বুধবার ইয়াঙ্গুনের কনমিনথায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্কট অ্যালান মার্সিয়েলকে সেনাপ্রধান হ্লেইং বলেন, ‘দেশে বাঙালিদের নিয়ে আসেনি মিয়ানমার; কিন্তু ঔপনিবেশিকরা তাদেরকে মিয়ানমারে নিয়ে এসেছেন।’

‘তারা মিয়ানমারের স্থানীয় অধিবাসী নয় এবং তথ্য-উপাত্তে প্রমাণ আছে, এমনকি তাদেরকে রোহিঙ্গা বলেও ডাকা হয় না। কিন্তু ঔপনিবেশিক সময় থেকে তাদেরকে বাঙালি বলে ডাকা হয়।’

বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয় বলছে, রোহিঙ্গাদের রাখাইন থেকে বিতাড়িত করতে নিষ্ঠুর পরিকল্পিত অভিযান পরিচালনা করছে। রোহিঙ্গারা যাতে ফিরতে না পারে সেলক্ষ্যে তাদের বাড়ি-ঘর, ফসল এবং গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশের ৩০টি তল্লাশি চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর রোহিঙ্গাবিরোধী কঠোর অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে।র

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button