ঢাকা: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির পর সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
এ লক্ষে তথ্য অবকাঠামো নিরাপত্তা বিধান তৈরির সব ব্যবস্থা নিয়ে সাইবার সিকউরিটি আইনের খসড়া চূড়ান্ত করতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই মন্ত্রিসভায় যাবে এই খসড়া।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, সাইবার সিকিউরিটি এখন আমাদের উদ্বেগের বিষয়। তাই এর নিরাপত্তায় আমরা সার্বিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। তথ্য অবকাঠামো নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাইবার সিকউরিটি আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির পর অবকাঠামো শক্তি ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার। সভায় ৬০ জনেরও বেশি সচিব অংশ নেন।
সভায় অংশ নেওয়া একজন সচিব বলেন, সভায় সব চেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয় তথ্য অবকাঠামো বিধান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে। দীর্ঘ সময় চলে আলোচনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সিকিউরিটি আইন যথাযথভাবে করার উপর নির্দেশনা দেওয়া হয়। কমাতে বলা হয় বিদেশি নির্ভরতা। এক সপ্তাহের মধ্যে আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভায় পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে।
সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সিকিউরিটি আইন, পলিসি এবং গাইড লাইন দ্রুত প্রণয়ন করতে বলা হয়। যাতে ভবিষ্যতে সাইবার ক্রাইমের ঘটনা আর না ঘটে।
‘সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে একটি আইন প্রণয়ন করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। গত ১০ মার্চ থেকে এই আইনের বিষয়ে সর্ব সাধারণের মতামত নেওয়া হচ্ছে। খসড়ায় বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের জন্য সর্বনিম্ন ৩ বছর কারাদণ্ড থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। অর্থ দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে ২০ হাজার টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত।
বিদেশি নির্ভরতা কমাতে দক্ষ ও প্রযুক্তিনির্ভর বিশেষজ্ঞ তৈরির নির্দেশনা ও সুপারিশ করা হয় সচিব সভায়।
বৈঠক সূত্রে আরো জানা গেছে, এছাড়া সচিব সভায় এ সংক্রান্ত পলিসি ও গাইডলাইন দ্রুত প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনে ই-ফাইলিং নথি ব্যবস্থাপনা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি(এডিপি) শতভাগ বাস্তবায়ন এবং সরকারের গত ৭ বছরে সাফল্যের প্রতিবেদন তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।