এ বি এন এ : নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় করা সাধারণ ডায়েরির তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এফিডেফিট আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার এসপি ও বন্দর থানার ওসির সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মোহম্মদ ইকবাল কবিরের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়।
এর আগে ২৮ মে নারায়ণগঞ্জের ডিসি, এসপি ও ওসির প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট না হয়ে তাদেরকে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে মোতাবেক নারায়ণগঞ্জের ডিসির পক্ষ থেকে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার পূর্নাঙ্গ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। ঐ প্রতিবেদনে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনাসহ শিক্ষককে স্বপদে পুনর্বহাল, প্রয়োজনীয় চিকিত্সা সেবা ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করে অ্যাডহক কমিটি গঠনসহ যেসকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তার বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে।
একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের এসপি ও ওসি তাদের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিয়ে বলেছেন, ঐ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অনুমতি নিয়ে ঐ জিডির তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে ৬০ দিন সময় প্রয়োজন। হাইকোর্ট সময় আবেদন মঞ্জুর করে ৪ আগস্টের মধ্যে এসপি-ওসিকে পূর্ণাঙ্গ ও বিস্তারিত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়। এছাড়া ডিসির দেয়া প্রতিবেদনে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে তা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয়।
আগামী ৭ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছে আদালত। আদালতে পত্রিকার প্রতিবেদন উপস্থাপনকারী সিনিয়র আইনজীবী এ কে রহমান ও মহসীন রশীদ উপস্থিত ছিলেন।