
এবিএনএ : হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে মূল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র মোদক জানান, আজ শুক্রবার বেলা ১টা ৩৬ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট অগ্নিনির্বাপণের কাজ শুরু করে।
বিমানবন্দরে আগুন লাগার খবরে মূল ভবনের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দুপুর আড়াইটার দিকে একজন প্রতক্ষ্যদর্শী জানান, বিমানবন্দরের মূল ভবনের তিনতলায় এয়ার ইন্ডিয়ার অফিসে বৈদ্যুতিক শটসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পাশের আরও দু’টি অফিস কক্ষে ছড়িয়ে পড়ে।
কর্তব্যরত কর্মকর্তারা অগ্নিনির্বাপণ গ্যাস দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। ছুটে আসে বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট। তার সঙ্গে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। প্রতক্ষ্যদর্শী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মহির উদ্দিন জানান, মালদ্বীপ এয়ার লাইন্সে তার ভারতের চেন্নাই যাওয়ার কথা ছিল। বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে ফ্লাইট ছিল। দুপুর দেড়টার দিকে তার বোর্ডিং সম্পন্ন হয়ে ইমিগ্রেশন কার্ড চলার সময় হঠাৎ ফায়ার এলার্ম বেজে ওঠে। ওই মুহূর্তে ইমিগ্রেশন থেকে তার পাসপোর্টটি ফেরৎ দেয়া হয়। ইমিগ্রেশনের সব কাজ বন্ধ করে কর্মকর্তারা বেরিয়ে যেতে থাকেন। তিনিসহ অন্যান্য যাত্রীরাও বেরিয়ে যেতে থাকেন।
বিমানের ফ্লাইট অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, দুপুর দেড়টার পর থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত সকল ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিকাল চারটার দিকে বিমানবন্দরে সকল কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এই আড়াই ঘণ্টায় বিমানবন্দরে কোন ফ্লাইটের উঠা-নামার সিডিউল ছিল না। শুধু অগ্নিকাণ্ডের সময়ে ১টা ৪০ মিনিটে থাই এয়ারলাইনের বিমানটি যাত্রীদের নিয়ে ছেড়ে যায়।
Share this content: