আমেরিকালিড নিউজ

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ‘ফামাক্যাশ’

এবিএনএ: যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ যে কোন দেশে বিশ্বস্ততার সাথে সবচেয়ে কম সময়ে পাঠানোর অঙ্গীকার নিয়ে ৪ আগস্ট চালু হল ‘ফামাক্যাশ।’ নিউইয়র্কভিত্তিক এই মোবাইল ও গতানুগতিক পদ্ধতিতে অর্থ রেমিটেন্সের জন্যে এটি হচ্ছে প্রথম একটি বাংলাদেশি প্রতিষ্টান। মোবাইল ব্যাংকিং-এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত রেমিটেন্স হাউজ, এজেন্টের মাধ্যমেও অর্থ পাঠাতে পারবেন।ম্যারিয়ট লাগায়ার্ডিয়া হোটেলের বলরুমে সংস্থাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের এমডি ও সিইও আতাউর রহমান প্রধান, যুক্তরাষ্ট্রের সিবিডব্লিউ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট সঞ্চিতা পদ্মামানভন, ফামাক্যাশের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ড. সাইফুল খন্দকারসহ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকবৃন্দ।

সংস্থার সিইও সাইফুল খন্দকার বলেন, নামমাত্র ফি-তে এক ক্লিকেই প্রবাসীর স্বজনেরা অর্থ পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশের রূপালী ব্যাংক থেকে সে অর্থ তোলা যাবে কিংবা মোবাইলে তা জমা হবে।  যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসীরাও অন্য সিটির লোকজনের কাছে একই প্রক্রিয়ায় অর্থ পাঠাতে পারবেন। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপেও এ কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হবে। প্রধান অতিথি রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন বলেন, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ স্বজনের কাছে মুহূর্তেই নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার মধ্যে কী যে আনন্দ অনুভূতি তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। রুপালী ব্যাংকের সিইও আতাউর রহমান প্রধান বলেন, গত বছর আমি এই নিউইয়র্কে অঙ্গীকার করেছিলাম প্রবাসীদের জন্যে বিশেষ কিছু করার। সে তাগিদেই ‘ফামাক্যাশ’র সাথে রূপালী ব্যাংকের গভীর একটি সম্পর্ক রচিত হতে যাচ্ছে। শীঘ্রই আমরা বাংলাদেশে রূপালী ব্যাংকের সকল শাখার মাধ্যমে ফামাক্যাশ প্রেরিত অর্থ গ্রাহকের একাউন্টে অথবা মোবাইলে পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম শুরু করবো। সংস্থার পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিপ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স মার্কেট। এটি ধরতে পারলে ফামাক্যাশ’র অগ্রযাত্রা তথা প্রবাসীদের স্বপ্ন পূরণে আর কোন সমস্যা থাকবে না। তবে এজন্যে প্রয়োজন সকলের আন্তরিকতাপূর্ণ সহায়তা। ইঞ্জিনিয়ার হানিপ বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, আইটি স্পেশালিস্ট হিসেবে ড. সাইফুল খন্দকার দীর্ঘদিন চেষ্টার পর এই অ্যাপস তৈরি করেছেন, যা অত্যন্ত নিরাপদ এবং তড়িৎ কাজ করতে সক্ষম। এটাই হবে এই কোম্পানীর এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে বড় পাথেয়। সংস্থার অপর পরিচালক হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, সারা আমেরিকার প্রবাসীরা আজ এই সংস্থায় ঐক্যবদ্ধ। নিজের, কম্যুনিটির এবং জাতীয় স্বার্থে ঐক্যের এই ধারাকে এগিয়ে নিতে ফামাক্যাশ অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখবে-তা বলার অপেক্ষা রাখে না।মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য গ্রেস মেং-এর প্রতিনিধি হিসেবে জর্দান গল্ডেস শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ফামাক্যাশকে। অভিবাসী সমাজের কষ্টার্জিত অর্থ আপনজনের কাছে নিরাপদে এবং দ্রুততম সময়ে পৌঁছে দেয়াটাও মানবসেবার মধ্যে পড়ে। এ অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাহাবুদ্দিন পাটোয়ারি, হোসাইন সিরাজি, রবিউল করিম বেলাল, সংস্থাটির বাংলাদেশ অফিসের এমডি খাজা রেহান বখত, ফোবানার নির্বাহী চেয়ারপার্সন মীর চৌধুরী, নির্বাহী সচিব জাকারিয়া চৌধুরী, সম্মানিত সদস্য বেদারুল ইসলাম বাবলা, ডেমক্র্যাট মজিবর রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিক, সাবেক সেক্রেটারি ফখরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনিকা রায়, শিক্ষা সম্পাদক আহসান হাবীব, ড্রামা সার্কলের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি নারগিস আহমেদ, বর্তমান কমিটির সভাপতি আবীর আলমগীর, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ও ফামাক্যাশে বিনিয়োগকারি খোরশেদ খন্দকার, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক ওসমান চৌধুরী, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সভাপতি রব মিয়া এবং সেক্রেটারি জাহিদ মিন্টু, মিরসরাই সমিতির সভাপতি কাজী নয়ন, চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী আজম, কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা নুরূল আজিম, ডেমক্র্যাট আব্দুস শহীদ, কম্যুনিটি বোর্ড মেম্বার ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার প্রমুখ। ফামাক্যাশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘দ্য বেস্ট ওয়ে টু স্পেন্ড, সেন্ড এ্যান্ড রিসিভ মানি’ স্লোগানে উজ্জীবিত ‘ফামাক্যাশ’র মাধ্যমে বহুজাতিক স্টোরসমূহে কেনাকাটা ছাড়াও সব ধরনের দৈনন্দিন বিল পরিশোধও করা যাবে। বিভিন্ন উৎসবে মূল্যহ্রাসের কুপনও ব্যবহার করা যাবে এই পদ্ধতিতে।

Share this content:

Back to top button