বিএনপি অর্থ ব্যয় করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে- সরকারের মন্ত্রীদের এই বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। যখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি সংস্থা ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এসেছে, যখন বাংলাদেশ গণতন্ত্র সম্মেলনে দাওয়াত পায়নি তখন আজকে এই কথাগুলো উঠছে। আমাদের প্রশ্ন, আগে কেনো এই কথাগুলো উঠলো না? আর কিছুদিন আগে আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখেছি, গত ১৪ বছর আওয়ামী লীগ লবিস্ট নিয়োগ করে এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং চুরি-ডাকাতি করে এদেশের অর্থ লুণ্ঠন করেছে।
তিনি বলেন, এগুলো যাতে ধামাচাপা দেয়া যায়, সেজন্য বিদেশে তারা গত ১৪ বছর যাবৎ লবিস্ট নিয়োগ করেছে। যখন পত্র-পত্রিকায় এসেছে, তখন ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কতগুলো ডকুমেন্ট দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য এ ধরনের কথা বলছেন। যেগুলো সম্পূর্ণ বানোয়াট। আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিক্রিয়া সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাবো।
খন্দকার মেশাররফ বলেন, জিয়াউর রহমান যে গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, আজকে যারা ক্ষমতায় তারা ২০০৮ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে- সেই সব নির্বাচনে গণতন্ত্রকে হত্যা করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে তছনছ করে দিয়েছে। আর দেশে আজকে মানবাধিকার নেই। মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আজকে এই সরকার বিদেশে বদনাম অর্জন করেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বাংলাদেশ আজকে স্বৈরাচারের অধীনে চলছে, এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বলেও মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ। আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, নিরপেক্ষ সরকার যদি না আসে তাহলে বিএনপি কোন নির্বাচনে যাবে না। শুধু তাই নয়, নির্বাচনকে আমরা প্রতিহত করবো। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমান উল্লাহ আমানসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।