
এবিএনএ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে তখন জঙ্গিবাদী অপতৎপরতা শুরু হয়। সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মিলে জঙ্গিবাদকে মোকাবেলা করেছে। জঙ্গিবাদ নির্মূলের ন্যায় মাদককেও নির্মূল করব। সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাদকবিরোধী যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এ যুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে। পুলিশের এলিটফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন (র্যাব) কর্তৃক নির্মিত মাদকবিরোধী বিজ্ঞাপন (টিভিসি) ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে প্রচারণা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
জেলখানার ধারণ ক্ষমতা ৩৭ হাজার। বর্তমানে ৯০ হাজার পার হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৩ হাজারই মাদক সংশ্লিষ্ট কারণে গ্রেফতারের পর কারাগারে। তারা যেখানেই যাচ্ছে সেখানেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। জঙ্গিবাদের ন্যায় মাদকবিরোধী প্রচারণা দরকার। বাংলাদেশকে আমরা সেই জায়গাতেই নিয়ে যেতে চাই, যেই স্থানটিই সবাই আমরা স্বপ্ন দেখি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাভেদ পাটোয়ারী বলেন, শুধু অভিযান নয়, মাদকবিরোধী প্রচারণা আরও বেশি দরকার। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর প্রতিষ্ঠার আগে পুলিশ এককভাবে মাদকবিরোধী ভূমিকা পালন করেছে। মাদককে শুধুমাত্র পুলিশি সমস্যা ধরে নিলে চলবে না। এটা সামাজিক সমস্যা, ব্যাধি। মাদকবিরোধী ভূমিকায় সব শ্রেণির পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত হতে হবে। একটি পরিবারকে ধ্বংস করার জন্য একজন মাদকসেবী থাকলেই যথেষ্ট। অনেক বাবা-মা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমার ছেলেকে জেলে দিন, যেন ৫/৬ বছর জেল থেকে বের হতে না পারে। মাদক উৎপাদন, কেনা বেচা, বিপণন, নিরাময়, পুনর্বাসন সবকিছুকেই মাদকবিরোধী ভূমিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ৬৪ জেলার সরকারি হাসপাতালে যদি ১০টি করে বেড সংরক্ষিত রেখে মাদকসেবীদের চিকিৎসা দেয়া যায় তবে কার্যকরী ভূমিকায় আসবে। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ এবং র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।
Share this content: