
এবিএনএ : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ওপর গণহত্যাকে ‘সাম্প্রদায়িক গণহত্যা’ উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশকেই প্রধান ভূমিকা পালন করার পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট লেখক, সাহিত্যিক ও সমাজ গবেষকরা।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট কলামিস্ট ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীরা বিভিন্নভাবে হামলা করছে রোহিঙ্গাদের উপর। এ ধরনের ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। ধর্ষণের মতো ঘৃণিত কর্মও তাদের একটি হাতিয়ার বলে তারা নিজেরা স্বীকার করছে। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা তো মানুষ; আমরা তাদেরকে মরতে দিতে পারি না। অথচ এ ব্যাপারে আমাদের সরকারের স্পষ্ট কোনো ভূমিকা নেই।
এ সময় মিয়ানমারের গণহত্যা বন্ধে ও সার্বিক সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে সাময়িক ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের সরকারের নীতি হচ্ছে শরণার্থী গ্রহণ না করা। কিন্তু নানাভাবে বাংলাদেশে শরণার্থী ঢুকে পড়ছে। এই অবস্থা বিপদজনক। কেননা সরকার যদি শরণার্থী গ্রহণের নীতির মধ্য দিয়ে তাদেরকে প্রবেশ করাতো তাহলে তারা সরকারের নজরদারির মধ্যে থাকতো। তাই এই আগমন ব্যবস্থা একটি সুনির্দিষ্ট নীতির মাধ্যমে হওয়া জরুরি। মিয়ানমারে অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিকভাবে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক জোরদার ভূমিকা পালন করার তাগিদ দেন সাকি। পাশাপাশি মিয়ানমারের ঘটনা অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিকভাবে একটি কমিশন গঠন পরামর্শও দেন তিনি। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিল্পী অরুপ রাহী, অধ্যাপক স্বপন আদনান, অধ্যাপক তনজিম উদ্দিন খান প্রমুখ।
Share this content: