জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

‘মশার ওষুধ ক্রয়ে ন্যূনতম দুর্নীতি প্রত্যাশিত নয়’

এবিএনএ: ঢাকা সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রমের কেনাকাটা ও বাস্তবায়ন কার্য স্বচ্ছ থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডে অফিসার্স ক্লাবের উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকায় এডিস মশা নিধনে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই প্রত্যাশার কথা বলেন। দুদক কমিশনার বলেন, ‘মশা নিধনের ওষুধ ক্রয় কিংবা যন্ত্রপাতি ক্রয় থেকে শুরু করে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে ন্যূনতম দুর্নীতি হোক- এটা কমিশন আশা করে না। আমরা আশা করি এসব কাজে কোনো দুর্নীতি সংঘটিত হবে না, কেউ অভিযোগও করবে না।’

তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি পর্যায়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে পরিবার, প্রাতিষ্ঠানিক তথা সার্বিকভাবে নগরের পরিচ্ছন্নতা বিকশিত হয়। সিটি করপোরেশনের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানকে সাধুবাদ জানাই। এডিস মশার কারণে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ চরম বেদনার। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সচেতন হলে হয়তো এভাবে মূল্যবান প্রাণহানি ঘটতো না।’

মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘মহামূল্যবান প্রাণ রক্ষার এই মহৎ কাজ দুর্নীতির মতো জঘন্য অপরাধে কলঙ্কিত হোক দেশের কোনো বিবেকবান মানুষ তা চায় না। দুর্নীতি দমন কমিশনও তেমনটা চায় না। দুদক ২৫ টি সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি-অনিয়ম-হয়রানি প্রতিরোধে ২৫ টি প্রাতিষ্ঠানিক টিমের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তার মানে এই নয় যে, ২৬ নং টিম গঠন করে অন্য কোন সংস্থার দুর্নীতি প্রতিরোধে এ জাতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে না। প্রয়োজন হলে এ জাতীয় আরো প্রাতিষ্ঠানিক টিম আরো গঠন করা হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার বলেন, ‘শুধু সিটি করপোরেশন নয়, দুদকের নজরদারি রয়েছে সর্বত্রই। দুদক এখন সর্বোচ্চ সক্রিয়। আগে যারা দুদককে দন্তহীন বাঘ বলতেন, তারা এখন আর এভাবে ভাবেন না। কারণ, কমিশনের বর্তমানে চলমান বহুমাত্রিক কার্যক্রমকে তারা অনুধাবন করছেন।’ এরপর তিনি পর্যায়ক্রমে বিয়াম স্কুল ও ঢাকা কলেজে মশক নিধন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

Share this content:

Related Articles

Back to top button