জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

রিফাত হত্যা মামলা পিবিআই’র কাছে হস্তান্তরের দাবি মিন্নির বাবার

এবিএনএ : বগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন মামলার প্রধান সাক্ষী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে মিন্নির জবানবন্দি নিয়েছে পুলিশ। প্রভাবশালী মহলকে বাঁচাতে পুলিশ এ ঘটনায় মিন্নিকে ফাঁসাচ্ছে। তাই এ মামলার তদন্ত পিবিআইতে স্থানান্তরের দাবি জানাচ্ছি।

স্বামী রিফাতকে বাঁচাতে মিন্নি আপ্রাণ চেষ্টা করেছে দাবি করে মোজাম্মেল হক বলেন, আপনারা সবাই ভিডিও ফুটেজে দেখেছেন, রিফাতকে বাঁচাতে মিন্নি জীবন বাজি রেখেছে। শত চেষ্টা করেও তাকে রক্ষা করতে পারেনি। কুচক্রী মহল এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ সুনাম কলকাঠি নাড়ছেন। তিনি প্রকৃত আসামিদের বাঁচাতে মিন্নিকে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত করার চেষ্টা করছেন।

রিফাত শরীফ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে রিফাত ফরাজী ও রিশান জড়িত বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন মিন্নির বাবা। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের আগে রিফাতের সঙ্গে বরগুনা জেলা পরিষদের প্রশাসক দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী সামসুন্নাহার খুকির বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি নিয়ে সামসুন্নার খুকি তার বোনের ছেলে রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীর কাছে নালিশ করেন। এরপর রিফাত ও রিশান ফরাজী রিফাত শরীফকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মিন্নির মা জিনাত জাহান মনি, ছোট বোন ছামিরা মেঘলা ও ছোট ভাই আবদুল মুহিত ক্বাফি।

গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বেলা তিনটার দিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়। পরের দিন ওই ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নামে এবং চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button