খেলাধুলা

রিও অলিম্পিকে নিষিদ্ধ রাশিয়া

এ বি এন এ : বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিলো আসন্ন অলিম্পিকে নিষিদ্ধ হতে পারে রাশিয়া। গুঞ্জনই সত্যি হলো। ক্রীড়াবিশ্বের সর্বোচ্চ আদালত কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস রায় দিয়েছে অলিম্পিকে থাকছে না রাশিয়া।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দেয়া সাক্ষাতকারে আদালতের এক মুখপাত্র জানান, বিচারক প্যানেল রায় দিয়েছে যে রিও অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবেন না রুশ অ্যাথলেটরা। কারণ তারা আইএএফ এর নিয়মানুযায়ী যোগ্য নয়।
ভয়াবহ মাত্রার ডোপিং কেলেঙ্কারির কারণে গত বছরই রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস থেকে।  তবে রাশিয়ার ৬৮ ক্রীড়াবিদ ও অলিম্পিক কাউন্সিল এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাদের খেলার আশা বেঁচে থাকে।
কিন্তু এরপর বিশ্ব মাদক বিরোধী সংস্থা ওয়াডার প্রতিবেদনে জানা যায়, রাশিয়া সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে অ্যাথলেটদের ডোপ করা হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবে এমন প্রতিবেদনে নড়েচড়ে বসে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটিও (আইওসি)।
রিও অলিম্পিক থেকে গোটা রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করার অনুরোধ জানায় ওয়াডা। তাদের সমর্থন জানায় জার্মান অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ, আর আগে থেকেই সঙ্গে থাকা কানাডা ও নিউজিল্যান্ডের ডোপিং সংস্থা।
সেই প্রেক্ষিতে বৈঠকে বসে অলিম্পিক কাউন্সিল। ক্রীড়া আদালত দুই পক্ষেরই কথা শোনে।  তবে শেষ পর্যন্ত রায় এলো রাশিয়ার বিরুদ্ধেই।  নিষিদ্ধ হলো রুশরা।
আর আদালতের এই রায়ে খুশি আইএএফ। তারা জানায়, আমরা এই সিদ্ধান্তে খুশি। এতে করে সব ক্রীড়াবিদরা সমান সুযোগ পাবে।
ওয়াডার জন্য সাম্প্রতিক এই প্রতিবেদন তৈরি করেন কানাডার অধ্যাপক রিচার্ড ম্যাকলারেন।  সেখানে বলা হয়, অ্যাথলেটদের ডোপিং পরীক্ষার কারচুপিতে রাষ্ট্রীয়ভাবেই মদদ দিয়েছে রাশিয়া। পাঁচ বছর ধরেই ব্যাপারটি চলে আসছে বলে উল্লেখ করা হয় এই প্রতিবেদনে।
২০১০ ও ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দুটি শীতকালীন অলিম্পিক, ২০১৩ সালের বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ডোপিং পরীক্ষায় কারচুপি রেছিলেন রাশিয়ার অ্যাথলেটরা। আর এ কাজে রাশিয়ার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সহায়তা করেছিলেন বলে দাবি করা হয় ম্যাকলারেনের প্রতিবেদনে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button