জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক : স্পিকার

এবিএনএ : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার, সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ও ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলির সভাপতি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে রাশিয়ার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্ববন্ধন দীর্ঘদিনের। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সহযোগিতা, ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় দু’দেশের সম্পর্ককে ভিন্নমাত্রা দিয়েছে।

তিনি আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তার কার্যালয়ে ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলিতে যোগ দিতে আসা রাশিয়া প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে তাদের স্বাগত জানিয়ে এ কথা বলেন।

রাশিয়ান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন সে দেশের পার্লামেন্টের ডেপুটি চেয়ারম্যান ইলিয়াস উমাখানভ।

সম্প্রতি সেন্ট পিটার্সবার্গে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা এবং সমবেদনা প্রকাশ করে স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন, যা এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের দীর্ঘ বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে রাশিয়ার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই রাশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়োপযোগী হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাশিয়ার অবদান অনস্বীকার্য।

প্রতিনিধিদলের প্রধান ইলিয়াস উমাখানভ বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত সফলতার সাথে ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলি আয়োজন করেছে। রাশিয়া চলতি বছরের ১৪-১৮ অক্টোবর আইপিইউ’র ১৩৭তম এসেম্বলি আয়োজন করতে যাচ্ছে। সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিতব্য এ এসেম্বলিতে বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। এ সময় প্রতিনিধিদল বাংলাদেশকে আরো কারিগরী ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

২০১৬ সালে রাশিয়া সফরের স্মৃতিচারণ করে স্পিকার বলেন, দ্বি-পাক্ষিক সফরের মাধ্যমে দু’দেশের পার্লামেন্টের সম্পর্ক নব দিগন্তের সূচনা করতে পারে।

এ সময় তিনি রাশিয়ার পার্লামেন্টের স্পীকারের আতিথিয়তায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে রাশিয়ার পার্লামেন্টের স্পীকারকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

স্পিকার আরো বলেন, আগামী নভেম্বরে বাংলাদেশ কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের (সিপিএ) সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আইপিইউ এসেম্বলি আয়োজনের এই অভিজ্ঞতা আরো সফলভাবে সিপিএ সম্মেলন আয়োজনে সহায়ক হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

স্পিকার এ সময় বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ, পাটজাত দ্রব্য, ঔষধ, তৈরি পোশাক শিল্প, জাহাজ নির্মাণ শিল্প ও চামড়া শিল্পে রাশিয়ার বিনিয়োগকারীদের আরো অধিক বিনিয়োগের আহবান জানান।

আজ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে নামিবিয়ার স্পিকার ও সেদেশের প্রতিনিধিদলও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ দলের নেতৃত্ব দেন নামিবিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার প্রফেসর পিটার এইচ কাতজাভিভি।

বৈঠকে দুই স্পিকার দু’দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় নামিবিয়ার স্পিকার বাংলাদেশের স্পিকারকে সে দেশে সফরের আমন্ত্রণ জানান।

Share this content:

Related Articles

Back to top button