এ বি এন এ : বাগেরহাটের রামপালে বিদ্যুকেন্দ্র স্থাপনে সরকারের সিদ্ধান্তকে গণবিরোধী ও দেশবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এই বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে প্রাকৃতিক সম্পদ সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি। এজন্য সরকারকে রামপাল প্রকল্প থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন খালেদা জিয়া।
বুধবার বিকালে গুলশানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ইস্যুতে কথা বলার জন্য খালেদা জিয়া এই জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাগেরহাটের রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এনটিপিসির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী দুই প্রতিষ্ঠান ১৫ শতাংশ করে টাকা বিনিয়োগ করবে এবং বাকি ৭০ শতাংশ টাকা ভারতের এক্সিম ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে নেয়া হবে।
দেশের বিদ্যুৎঘাটতি মোকাবেলায় এই প্রকল্প নেয়া হলেও পরিবেশবাদী এবং বামপন্থি বিভিন্ন সংগঠন এর বিরোধিতা করে আসছে। এই বিদ্যুৎকেন্ত্র চালু সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছে তারা। বিএনপি নেতারাও নানা সময় এই প্রকল্পের বিরোধিতা করলেও খালেদা জিয়া সরাসরি এ নিয়ে কথা বলেননি এতদিন।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, ‘অনির্বাচিত’ সরকার জবরদস্তিমূলকভাবে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প করছে। ‘স্বৈরাচারী’ এই সরকার জনমতকে গ্রাহ্য করছে না বলেও অভিযোগ সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর।
লিখিত বক্তব্যে বিভিন্ন যুক্তি ও পরিসংখ্যান তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, এই বিদ্যুকেন্দ্র হলে পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতি হবে। আমাদের মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ ও মৎস্যসম্পদ ধ্বংস হয়ে যাবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন দাবি করেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র অলাভজনক প্রকল্প। তাই সরকারকে এই প্রকল্প থেকে সরে আসার জোর দাবি জানান তিনি।
তবে সরকার বলছে, প্রযুক্তিগত দিক থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হবে পৃথিবীর অনন্য একটি স্থাপনা। এ থেকে দূষণের কোনো আশঙ্কা নেই।