এ বি এন এ : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আক্তার জাহান জলির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরি ভবনের ৩০২ নম্বর কক্ষ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পরিবারের লোকজন তার কোনো সাড়া না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ঘরের দরজা খুলে আক্তার জাহানকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করে। হাসপাতালের নেয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিত্সকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিভাগের অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, আকতার জাহানকে তার ঘরের বিছানায় মশারির মধ্যে শোয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মুখে ফেনা ও রক্ত বেরিয়ে আসার মতো কালো দাগ ছিল। তবে ময়নাতদন্ত না করে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয় বলে রাজশাহী মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিত্সক মহিনুল ইসলাম জানিয়েছেন।
সাংবাদিকতা বিভাগের ড. মোজাম্মেল হোসেন বকুল জানান, আখতার জাহানের ছেলে সোয়াদ ঢাকা থেকে মোবাইলে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছিল। কিন্তু তিনি রিসিভ না করলে সোয়াদ অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপুকে কল দিয়ে খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করে। পরে অধ্যাপক তাপু জুবেরী ভবনের দায়িত্বরত প্রহরী দিয়ে খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করলে তার কক্ষ বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মতিহার থানা পুলিশের উপস্থিতিতে কক্ষের দরজা ভেঙে বিছানায় শোয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার মুখে সাদা ফেনা জাতীয় কিছু জড়িয়ে ছিল। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক মৃত ঘোষণা করেন।
আখতার জাহানের সাবেক স্বামী সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ বলেন, তার সাথে আমার সম্পর্ক প্রায় ৪ বছর আগে বিছিন্ন হয়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে তার ব্যাপারে কোনো তথ্যই আমার জানা নেই এবং মৃত্যুর পিছনের কি কারণ থাকতে পারে তাও আমার জানা নেই। এর আগে বড় কোনো রোগে আক্রান্ত ছিলেন না বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে মতিহার থানার ওসি হুমায়ন কবির বলেন, কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তা জানি না। তার পরিবারের আত্মীয়-স্বজনরা আসলে সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্ত করা হবে।