এবিএনএঃ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়। রাষ্ট্র, সরকারি দল মিলেমিশে একাকার। রাজনীতির আকাশে ঘোর অমানিশার ইঙ্গিত রয়েছে। পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।
জিএম কাদের বলেন, আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। বাংলাদেশের রাজনীতি এবং অর্থনীতির পরিস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অবস্থা বুঝে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। সাংগঠনিকভাবে যারা ভালো কাজ করবেন, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রার্থী তালিকায় রাখা হবে। শুধু প্রার্থী হতে চাইলেই হবে না, ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে। জাতীয় পার্টি স্বতন্ত্র দল। দেশে সুশাসন ও ন্যায় বিচারভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠাই জাতীয় পার্টির লক্ষ্য। আমরা দেশ ও জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করি। জনগণ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে। আমরা প্রত্যেকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। ইতোমধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে প্রার্থী দিয়েছি। জনগণ ও আমাদের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা বিজয়ী হব। কিন্তু সাধারণ ভোটাররা আমাদের জিজ্ঞাসা করেন, আমরা ভোট দিতে পারব তো? সঠিকভাবে ভোট হবে কিনা, বাধাগ্রস্ত হব কিনা- এসব প্রশ্ন সাধারণ জনগণের। এ কারণেই সাধারণ মানুষের নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর অনাস্থা।
জিএম কাদের বলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনে সংসদীয় নির্বাচন হয়েছে। ভোটারের উপস্থিতি ছিল মাত্র ১০ ভাগ। ৯০ ভাগ ভোটার ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হননি। ভোটের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই। তার প্রমাণ এই নির্বাচন।
জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দলের কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা তৈয়েবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সামছুল হক, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু।
উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের এমপি, মনিরুল ইসলাম মিলন, আমানত হোসেন আমানত, মাহবুবুর রহমান লিপ্টন, ইঞ্জিনিয়ার মনির আহমেদ, মো. খলিলুর রহমান খলিল, মো. মাশরেকুল আজম রবি, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা প্রমুখ।