আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

যৌনদাসীদের অন্তর্বাসে প্রেসিডেন্ট কিমের খরচ জানেন?

এবিএনএ : সবচেয়ে সুন্দরী চাই। বয়স হতে হবে ১৩ থেকে ১৯- এর মধ্যে। তারা বেশি বয়সের কেউ ‘প্লেজার স্কোয়াড’-এ থাকতে পারবে না। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের এমনই নির্দেশ।

দেশের সেরা সুন্দরী, টিনএজ তরুণীদের নিয়ে কিম জং উনের যে ‘প্লেজার স্কোয়াড’ রয়েছে, সেই খবর এখন অনেকেরই জানা। কিন্তু অনেকেই জানেন না, ওই স্কোয়াডের সদস্যদের জন্য নিত্যনতুন অন্তর্বাস কেনার শখ রয়েছে কিমের। আর সেই অন্তর্বাসের জন্য বিপুল খরচ করতেও পিছপা হন না উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।

উত্তর কোরিয়ার তামাম স্কুল থেকে ১৩ বছর বয়সী মেয়েদের ওই প্লেজার স্কোয়াডের জন্য ধরে আনা হয়। ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী ও স্বাস্থ্যবতী কিশোরী, তরুণীদের কিম নিজের হারেমে এনে রাখেন। ওই স্কোয়াডের সদস্যদের কাজ কিম ও তার ঘনিষ্ঠ অনুচরদের যৌনাকাঙ্খা মেটানো। কিমের কথার অবাধ্য হলে ফল কী হয়, সে কথা বিলক্ষণ জানেন ওই মেয়েরা। কখনও বাঘের মুখে, কখনও আবার ক্ষুধার্ত কুকুরের মুখে ফেলে দেওয়া হয়। প্রত্যেক মেয়েকেই নিয়মিত তাদের কুমারীত্বের পরীক্ষা দিতে হয়। তাদের জন্য আলাদা ডাক্তার, ডায়েটিশিয়ানও রাখা হয়।

জানা গেছে, ওই প্লেজার স্কোয়াডের সদস্যদের অন্তর্বাসের পেছনে গতবছর ২.৭ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি ২৭ কোটি টাকার বেশি) খরচ করেছেন কিম, যা ২০১৫ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। অথচ কমিউনিস্ট দেশটির প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের জন্য প্রতিদিন বরাদ্দ ৬৫০ গ্রাম চাল, যব ও মাংস।

আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থাগুলি জানিয়েছে, ইউরোপ থেকে চকোলেট, শ্যাম্পেন, বিয়ার আমদানির পেছনে লক্ষ লক্ষ পাউন্ড খরচ করেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। ৩৩ বছরের এই খামখেয়ালি নেতার বিশেষ পছন্দ সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি, চিজ। কিমের পারফিউম, ডিওডেব়্যান্ট, মেক-আপ ও চুলের জন্য প্রসাধনীও আসে ইউরোপের সবচেয়ে বড় ও দামি বিপণি থেকে।

Share this content:

Related Articles

Back to top button