যে কারণে পর্দার বাইরেও তিনি ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ (ভিডিও)

এবিএনএ : সুপারহিরোর গল্প বড়পর্দায় দেখতে ভালবাসেন সকলেই। কারণ তাদের হাত ধরেই আমরা পৌঁছে যেতে পারি স্বপ্নের জগতে। আমাদের না করতে পারা অনেক কাজ আমরা যখন দেখি অনায়াসে করে ফেলছেন সেই সুপারহিরো তখন কোথায় যেন আমরা নিজেকে বসিয়ে ফেলতে পারি সেই সুপারহিরোর জায়গায়। আর সেটাই বোধ হয় সুপারহিরোকেন্দ্রিক ছবির সার্থকতা।
তবে সুপারহিরো শুধু পর্দায় বা বইয়ের পাতায় নয়, কখনও কখনও সাধারণ কোনও মানুষই হয়ে ওঠেন সুপারহিরো। কিংবা পর্দার হিরো বাস্তব জগতেও হয়ে ওঠেন সুপারহিরো। এই যেমন ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ গ্যাল গাডট। ইতিমধ্যেই বক্সঅফিসে ঝড় তুলেছে প্যাটি জেনকিন্সের ছবি ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’। মহিলা পরিচালকের ছবি হিসাবে ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’-এর ফার্স্ট ডে কালেকশন ভেঙে দিয়েছে বক্সঅফিসের সব রেকর্ড। প্রথম সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে এই ছবির বক্সঅফিস কালেকশন ২২৩ মিলিয়ন ডলার।
প্রথমদিনে এই ছবি ভারতেই ব্যবসা করেছে ২.০৬ কোটি টাকার। মহিলা সুপারহিরো ডায়না প্রিন্সের চরিত্রে গ্যাল গাডট মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। ভেঙে দিয়েছেন পুরুষকেন্দ্রিক সুপারহিরোর সব চিরাচরিত ধারণা। তবে আরেকটি যে ধারণা বদলে দিয়েছেন গ্যাল তা হল, নারী মাত্রই সে অবলা বা কম শক্তিশালী নয়। বরং কোনও কোনও ক্ষেত্রে নারীরা হয়ে উঠতে পারেন পুরুষের থেকে বেশি শক্তিশালী।
জানা গেছে, শ্যুটিং-এর সময় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন গ্যাল। কিন্তু ছবিতে তার অ্যাকশন সিকোয়েন্স দেখে তা বোঝা দায়। এমনকি ছবির বেশ কিছু দৃশ্য পুনরায় শ্যুট করা হয় ছবির পুরো শ্যুটিং শেষ হওয়ার ছয় মাস পরে। গ্যাল তার দ্বিতীয় সন্তান মায়ার জন্মের পর আবারও বেশকিছু অ্যাকশন সিকোয়েন্স শ্যুট করেন। গ্যালের বেবিবাম্পকে লুকাতে বেশকিছুটা হেল্প করেছে ভিসুয়াল এফেক্ট। শ্যুটিং-এর সময় অভিনেত্রীর পোশাকের সামনের অংশ ত্রিকোণ আকারে কেটে সেখানে দেওয়া হয়েছিল সবুজ কাপড়। পোস্ট প্রোডাকশনে তার ওপরেই কেরামতি করেছে গোটা ভিএফএক্স টিম।
গ্যালের মতে, শ্যুটিং চলাকালীন সময়ে কখনও কখনও নিজেকেই ওয়ান্ডার ওম্যান মনে হচ্ছিল তার, কখনও আবার লং শটে নিজেকে দেখে হাসিও পাচ্ছিল। কিন্তু পরিচালক-সহ গোটা টিমের সহায়তায় কোনওরকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়নি তাকে। এমনকি মজার ছলে পরিচালক প্যাটি বলেছেন, যে গ্যালের মেয়ে মায়াকে এবার তিনি বলতে পারবেন যে যুদ্ধক্ষেত্রে গ্যালের সঙ্গে মায়াও ছিল সহযোদ্ধা।
Share this content: