হিলারিই জিতবেন, ট্রাম্পকে নিয়ে শঙ্কা ভোটারদের

এবিএনএ : যুক্তরাষ্ট্রের দশজনের মধ্যে সাতজনই বলছেন, আগামী মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতবেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তবে একই সঙ্গে তারা এটাও ভয় পাচ্ছেন, ওই ফল রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নাও মেনে নিতে পারেন।
বলা হয়েছে, ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছিল এবারের নির্বাচন ও ভোটগণনা তার চেয়েও সুষ্ঠু ও সঠিক হবে বলে মনে করেন সব মার্কিন নাগরিক। প্রতিটি রাজ্যের প্রতি দশজনের মধ্যে প্রায় আটজন ভোটার মনে করেন তাদের দেওয়া ভোট সঠিকভাবে গণনা করা হবে। তবে হেরে যাওয়া প্রার্থী ফল গ্রহণ না করার একটা অজুহাত বের করে ফেলবেন এবং বিজয়ীকে অভিনন্দন জানাতে অস্বীকার করবেন। জরিপের ফল অনুযায়ী আশা করা হচ্ছে, ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন জিতবেন বিপুল ভোটে। বর্তমানে হিলারির জয়ের ব্যাপারে আশাবাদীদের হার শতকরা ৬৮ ভাগ। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবার (লেবার ডে) গণনায় এই হার ছিল ৫৯ শতাংশ। তারও আগে জুন মাসে প্রাইমারি ভোট শেষ হওয়ার পর পরই হিলারির জয়ের ব্যাপারে আশাবাদীর সংখ্যা ছিল ৫৫ ভাগ। এমনকি অর্ধেকের চেয়ে সামান্য কম ট্রাম্প-সমর্থকদেরও বিশ্বাস, নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত হিলারিই জয়ী হবেন। হিলারির সমর্থকদের মধ্যে ৯৩ শতাংশ ভোটারের দৃঢ় বিশ্বাস, নির্বাচনে তাদের পছন্দের প্রার্থীই জিতবেন। ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের ধারণা, শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের অনুকূলেই বইবে ভোটের হাওয়া। ওদিকে ট্রাম্পের সমর্থক হয়েও হিলারিই শেষ পর্যন্ত জিতবেন, এমন বিশ্বাস যারা করেন তাদের (৭২ শতাংশ) পরামর্শ হলো, ট্রাম্প যেন হার স্বীকার করে নেন। আবার ৫৫ শতাংশ ভোটার মনে করেন, হিলারি নন, নির্বাচনে ট্রাম্পই জিতবেন। ৬৬ শতাংশ নাগরিক বলেছেন, ভোট গ্রহণ ও গণনায় কোনো কারচুপি হবে না। ৫৮ শতাংশ মনে করেন, নির্বাচন ২০০৮ সালের চেয়ে ভালো হবে না। ৭২ শতাংশ মনে করেন, নির্বাচন হবে ২০০৪ সালের মতোই। ভোট গণনার সঠিকত্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের আত্মবিশ্বাসের বিষয়ে নতুন জরিপে প্রার্থীর সমর্থন এবং দলীয় সমর্থনের মধ্যে ভিন্নতা দেখা গেছে। এ ব্যাপারে হিলারির সমর্থকদের মধ্যে ৮৮ শতাংশই ইতিবাচক কথা বলেছেন। আর ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন, এমন ভোটারের হার ৪৯ শতাংশ। তবে কেবল দলীয় সমর্থকদের মধ্যে এই হার যথাক্রমে ৮৬ ও ৫৪ শতাংশ। হিসাবটা ২০০৪ সালের পুরো উল্টো। তখন আত্মবিশ্বাসী ডেমোক্রেটের সংখ্যা ছিল কম। ফ্লোরিডায় ভোট পুনর্গণনা হয়েছিল এবং তার ফলে রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ বুশ ডেমোক্রেট প্রার্থী আল গোরকে কয়েকশ’ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন।
Share this content: