
এবিএনএ: রোহিঙ্গা নারী রাজিয়া সুলতানা যুক্তরাষ্ট্রের সাহসী নারীর পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছ্নে। নির্যাতত রোহিঙ্গা মুসলিমদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার জন্য সাহসী নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। এবারের এ পুরস্কারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১০ নারীকে মনোনীত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ পুরস্কার তুলে দেবেন বিজয়ীদের হাতে। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প।
শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, জেন্ডার বৈষম্য এবং নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখায় ২০০৭ সাল থেকে আইডব্লিউওসি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৬৫ দেশের ১২০ নারীকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আনাদোলু বার্তা সংস্থাকে রাজিয়া সুলতানা বলেন, এটি শুধু আমি নই, আমার পুরো সম্প্রদায়ের জন্য একটি বিরাট অর্জন। কারণ আমরা এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন লড়াই করে আসা রোহিঙ্গা পরিচয়েই এ পুরস্কার পেতে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিরাপত্তা ও পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে নিজ দেশে ফিরতে চাই। আমরা উদ্বাস্তু শিবিরে বসবাস করতে চাই না। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরে ১৯৭৩ সালে জন্ম রাজিয়া সুলতানার। বর্তমানে রাজিয়া পেশায় একজন আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী।
Share this content: