আমেরিকা

যুক্তরাষ্ট্রের ধনী প্রেসিডেন্টরা: ১১-৫১ মি. ডলারের সম্পত্তি যাদের

এ বি এন এ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সি জয়ে একটা টাকার খেলা চলে। যার গাঁটের জোর যত বেশি তার জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় তহবিল সংগ্রহ। যে যত বেশি তহবিল গঠন করতে পারেন ততই তার হোয়াইট হাউজে যাওয়ার পথ সুগম হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মানেই ধনী, সে কথাটি বলা যাবে অনায়াসে। এদের মধ্যে কারও হাতে অর্থ কম, কারো বেশি… এই যা|

যুক্তরাষ্ট্রের ধনী প্রেসিডেন্টরা: ১-১০ মি. ডলারের সম্পত্তি যাদের (প্রথম পর্ব)

যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের সম্পদ ১৩ মিলিয়ন ডলারের কোটায়। হলিউডের সফল অভিনেতা রিগ্যান জেনারেল ইলেক্ট্রিকের মুখপাত্র হওয়ার এবং প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। আর প্রেসিডেন্সি ছেড়ে তিনি বই লিখে অর্থ আয় করেন বিপুল অংকের।

১৫ মিলিয়ন ডলারের ভাগ্য ছিলো ৩৭তম প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের। তারও ছিলো বই লেখা থেকে বড় আয়। আর ব্রিটিশ টক-শো হোস ডেভিড ফ্রস্ট তার ‘ট্রিকি ডিক’ সাক্ষাৎকার সিরিজের জন্যই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে দিয়েছিলেন ৬ লাখ ডলার।যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় কমান্ডার ইন চিফ জন অ্যাডামসের ছিলো এক ইস্পাত কঠিন প্রেসিডেন্সি। তবে টমাস জেফারসনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় হেরে যান এই ফেডারালিস্ট পার্টি নেতা। অ্যাডামস প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই অ্যাটর্নি ছিলেন। আর তার স্ত্রীও ছিলেন বেশ ধনাঢ্য পরিবারের মেয়ে। ফলে ১৯ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি তিনি রেখে যেতে পেরেছিলেন সহজেই।

২০ মিলিয়ন ডলার ক্লাবের সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। রিপাবলিকান পার্টির এই জিওপি প্রেসিডেন্ট তার বাবা জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের সঙ্গে টেক্সাসের বিশাল রেঞ্জারের যৌথ মালিক। এছাড়াও তার রয়েছে বেসবলের দল আর তেল শিল্প। এর বাইরে বই বিক্রি করে আর জনসম্মুখে বক্তৃতা করেও তার একটা ভালো আয় আসে।

যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাটিক-রিপাবলিকান পার্টির নেতা জন কুইন্সি অ্যাডামস ছিলেন বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট, যিনি পুনর্নির্বাচনে হেরে যান। ২১ মিলিয়ন ডলারের যে সম্পত্তি তিনি রেখে গিয়েছিলেন তার অনেকটাই পেয়েছিলেন উত্তরাধিকার সূত্রে। তবে একজন সফল আইনজীবীও ছিলেন অ্যাডামস।

৪১তম প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ যে ২৩ মিলিয়ন ডলারের ভাগ্য রচনা করেছেন তা তার ছেলের মতো তেলের খনি থেকেই এসেছে। আর টেক্সাসে তাদের পুরো সম্পত্তিই পারিবারিক।২৫ মিলিয়ন ডলার ক্লাবের ডেমোক্র্যাট গ্রোভার ক্লেভল্যান্ড ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ২২তম প্রেসিডেন্ট। তিনি ভেটো প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিত। ৪১৪টি বিলে ভেটো ক্ষমতার প্রয়োগ করেছিলেন ক্লেভল্যান্ড। আইন ব্যবসা ও আবাসন শিল্পে বড় আয় ছিলো তার।

অষ্টম প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভ্যান বুরেন গড়ে তুলেছিলেন ২৬ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি। তারও ছিলো জমজমাট আইন ব্যবসা। নিউইয়র্কে তার সহায় সম্পত্তিও কম ছিলো না।

যুক্তরাষ্ট্রের ফাউন্ডিং ফাদারদের একজন জেমস মনোরো পঞ্চম প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডেমোক্র্যাটিক-রিপাবলিকান পার্টির হয়ে। তার ছিলো ২৭ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি। তিনি ছিলেন একাধারে একজন আইনজীবী, কৃষক ও গাছের ব্যবসায়ী।

জন টাইলার ১০ম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই উনবিংশ শতকের শেষভাগেই তিনি গড়ে তুলেছিলেন ৫১ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ। উইং পার্টির এই প্রেসিডেন্ট তার প্রেসিডেন্সির ২৩তম দিনেই মারা যান। পারিবারিকভাবেই ছিলো তাদের তামাকের চাষ, আর বিয়েও করেছিলেন ধনীর মেয়েকে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button