জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রা শুরু ফ্লাই দুবাইয়ের

এবিএনএ : ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো ফ্লাই দুবাই। বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৩টা ৩ মিনিটে ফ্লাই দুবাইয়ের এয়ারক্রাফট অবতরণ করে ‍বিমানবন্দরে। এরপর ফ্লাইটের শুভ উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এ সময় মন্ত্রী ফ্লাই দুবাই যোগে আসা যাত্রীদের স্বাগত জানান।বিশেষ অতিথি হিসেবে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড.একেএম আব্দুল মোমেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গণি চৌধুরী, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান ইয়াসিন আলী এবং ফ্লাই দুবাইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গায়েত আল গায়েত।

২০১১ সাল থেকে ফ্লাই দুবাই বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। বর্তমানে দুবাই-ঢাকা-দুবাই রুটে প্রতিদিন ২টি এবং দুবাই-চট্টগ্রাম-দুবাইয়ে ১টি করে ফ্লাইট চলাচল করছে এয়ারলাইন্সের। এখন থেকে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সঙ্গে কোডশেয়ার পদ্ধতিতে বাংলাদেশের তৃতীয় গন্তব্য হিসেবে দুবাই-সিলেট-দুবাই রুটে প্রতিদিন একটি করে ফ্লাইট চলবে ফ্লাই দুবাইয়ের।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ঘোষণার দেড় যুগ পর বুধবার সিলেট এমএজি ওসমানী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে যাত্রা করে ফ্লাই দুবাই। এদিন দুবাই থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে ১৩৪ জন যাত্রী নিয়ে বিকেল ৩টা ৩ মিনিটে সিলেটে অবতরণ করে ফ্লাই দুবাইয়ের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে ১৬৯ জন যাত্রী নিয়ে ফিরতি ফ্লাইটে রওনা হবে উড়োজাহাজটি। ওই প্লেনে ১৭৪টি আসনের মধ্যে বিজনেস ক্লাসে ১২, ইকোনমি ক্লাসে ১৬৫ আসন রয়েছে।

ফ্লাইট চালুর প্রথম তিনমাসে সপ্তাহে পাঁচদিন দুবাই, সৌদি আরব, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ফ্লাইট পরিচালিত হবে। পরবর্তীতে সপ্তাহের সাতদিনই নিয়মিত ফ্লাইট থাকবে।

এর আগে ১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরকে দেশের তৃতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা হয়। কিন্তু রিফুয়েলিং সুবিধা না থাকায় বিদেশি এয়ারলাইন্সেগুলোর কোন ফ্লাইট ওসমানীতে অবতরণ করেনি। ২০১৫ সালের ১ মে সিলেট থেকে ফ্লাই দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হয়েও গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং জটিলতায় সেটা বন্ধ হয়ে যায়।

প্রবাসীদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে প্রায় ৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপিত হয় ওসমানীতে। ২০১৬ সাল থেকে রিফুয়েলিং স্টেশন চালুও হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট না থাকায় চালুর পর থেকেই লোকসানে ছিল রিফুয়েলিং স্টেশন। এবার রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সঙ্গে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের চুক্তির ফলে ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে এয়ারপোর্ট সূত্র।

এছাড়া ওসমানী বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে ওয়াইড বডি বোয়িং ৭৭৭ মডেলের প্লেনসহ অন্যান্য ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ৪৫২ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পেয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু হবে।

Share this content:

Back to top button