জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

লকডাউনের প্রথম দিনে জরিমানা-কড়াকড়ি

রাজধানীতে পুলিশের কড়াকড়ির কারণে সকালে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা কম দেখা গেলেও বিকালে এই চিত্র অনেকটা পাল্টে যায়। ইফতার কেনার অজুহাতে অনেকে বাইরে বের হন। প্রতি বছরের মতো ইফতার বাজার না বসলেও পাড়া-মহল্লায় ইফতার বিক্রি হয়েছে। আর সেখানে মানুষের ভিড়ও দেখা গেছে। ছিল না স্বাস্থবিধির কোনো বালাই। এছাড়া কাঁচাবাজারের চিত্রও ছিল অন্যান্য দিনের মতোই।

লকডাউনের প্রথম দিনে ঢাকার সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়৷ অধিকাংশ সড়কের প্রবেশ পথই অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়৷ তারপরও লোকজন জরুরি প্রয়োজনে ‘মুভমেন্ট পাস’ নিয়ে বের হন৷ পুলিশ যানবাহন থামিয়ে মুভমেন্ট পাস চেক করে তারপর গাড়ি ছাড়ে৷ তবে মুভমেন্ট পাস ছাড়াও যানবাহন দেখা গেছে৷ তারা বলছেন, মুভমেন্ট পাসের জন্য চেষ্টা করেও পুলিশের ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারছেন না৷

তবে বুধবার বাংলা নববর্ষ হওয়ায় এমনিতেই সরকারি ছুটি৷ রোজারও ছিল প্রথম দিন ৷ ফলে লোকজন এমনিতেই বাইরে বের হয়েছে কম। আগামী কয়েক দিন মানুষের প্রবণতা দেখে লকডাউন তারা কতটা মানছে সেটা বোঝা যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে মুভমেন্ট পাসের জন্য নাগরিকদের হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেখা গেছে। পুলিশ সদর দপ্তরের সর্বশেষ অনুযায়ী, মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মোট হিট, অর্থাৎ সাইটে প্রবেশ হয়েছে সাত কোটি ৮০ লাখ বার। প্রতি মিনিটে হিট ২১ হাজার ৩৩৭ বার। এ সময়ে তিন লাখ ১০ হাজার আবেদন হয়েছে মুভমেন্ট পাসের জন্য। পাস ইস্যু হয়েছে আড়াই লাখ।

লকডাউনের প্রথম দিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অকারণে বের বের হওয়া লোকদের জরিমানা করা হয়েছে। তবে অনেকে অকারণে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে। এমনকি স্বাস্থ্যকর্মীসহ যাদের চলাচলের অনুমতি আছে তাদেরও কাউকে কাউকে জরিমানা করা হয়েছে বলে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লকডাউনের পুরোটা সময়ই তারা এভাবে তৎপর থাকবেন। এজন্য জনসাধারণকে অপ্রয়োজনে কিংবা অল্প প্রয়োজনে বের না হওয়ার অনুরোধ করেছেন তারা। দেশকে করোনার ভয়ংকর থাবা থেকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে সাময়িক এই অসুবিধা মেনে নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

এদিকে লকডাউনের শুরুর দিনে দেশে করোনার মৃত্যুর নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৯৬ জন মারা গেছেন৷ এটা একদিনে করোনায় মৃত্যুর এপর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যা৷ আর এনিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেলেন নয় হাজার ৯৮৭ জন৷ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ১৮৫ জন৷ আর এপর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাত লাখ ৩১ হাজার ১৭০ জন৷

Share this content:

Related Articles

Back to top button