খেলাধুলা
সারাদেশে বাঁধভাঙা উল্লাস


এবিএনএ : নিজেদের শততম ওয়ানডেতে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবার শততম টেস্ট জয় করল টাইগাররা। এই জয়ে উল্লাসে মেতে উঠেছে পুরো বাংলাদেশ। দেশের জেলা, উপজেলার প্রতিটি পাড়া-মহল্লার ক্রিকেট প্রেমিরা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা। চট্টগ্রামের জিইসি মোড়, বরিশালের টাউন হলসহ দেশের নানা প্রান্তে পতাকা নিয়ে আনন্দ উল্লাস করেছে ক্রিকেট পাগল মানুষ। ‘বাংলাদেশ…বাংলাদেশ’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে সারাদেশ।
একই সঙ্গে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয় রাজধানী ঢাকা। খেলার ফলাফল অনেকটা নিশ্চিত হওয়ার পরপরই টিএসসিতে এসে জড়ো হয় বাংলাদেশ দলের ভক্ত-অনুরাগীরা। হাজার হাজার ক্রিকেটপ্রেমী বিজয় মিছিল নিয়ে আসে টিএসসিতে। কেউ মুখে রঙ মেখে। কেউ প্রিয় মানুষদের জড়িয়ে ধরে। কেউ আবার বাজনা বাজিয়ে আনন্দ করেছেন। বাজনার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মুখে সম্মিলিতভাবে উচ্চারিত হচ্ছিল ‘বাংলাদেশ…বাংলাদেশ’। সেই আনন্দের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও।
সোহেল রহমান নামের একজন লিখেছেন, ‘বাঘের থাবায় সিংহ কুপোকাত।’ মিঠুন রেজাউল হান্নান নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘স্বপ্ন কথা দিয়ে কথা রেখেছে। শুধু হাতছানি দিয়ে ফিরে যায়নি! অভিনন্দন বাংলাদেশ!!’
তালুকদার নাজমুস সাফিন লিখেছেন, ‘এখন আমাদের তামিম আছে, তারুণ্যের জয়গান গাওয়া সৌম্য-সাব্বির-মিরাজ-মোস্তাফিজ-তাসকিনরা আছে! মাথার উপর ছায়া হয়ে আছে সাকিব আল হাসান নামের এক বিশ্বসেরা। আছে মুশফিক কিংবা পুরো দলটাকে আগলে রাখতে আছে সেই চির তরুণ মাশরাফি!
জয় এসেছিলো দেশের ১০০তম ওয়ানডেতে, জয় আসলো দেশের খেলা ১০০তম টেস্টেও! জয় আসবে, আসবেই, বাঙালীর জন্মই হয়েছে জয়ী হবার জন্য! বাঙালী হারতে শেখেনি, পরাজয়ে কাবু হতে শেখেনি! গুড লাক বাংলাদেশ। শুভকামনা বাংলার ক্রিকেট যোদ্ধাদের জন্য। জয় বাংলা।’
শরিফুল হাসান লিখেছেন, ‘তিনদিন আগেও যারা গালি দিয়ে খেলা শিখাইছিলেন তারাও আজকে টাইগারদের প্রশংসায় ভাসায়ে দিচ্ছেন। এই হলো আমাদের ন্যাচার। জিতলে সবাই খুশি হারলে পাশে নেই। আমি শুধু বলি হারুক জিতুক যাই হোক এই দলটার পাশে থাকুন। ওদেরকে ওদের মতো থাকতে দিন। লেটস সেলিব্রেট। জয় বাংলা।’
ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ লিখেছেন, ‘অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ১০০তম টেস্টে এই ঐতিহাসিক জয়ে টিম বাংলাদেশকে অভিনন্দন।’ দুলাল দে নামের একজন লিখেছেন, ‘বাঘের থাবায় সিংহ পরাস্ত।’
আনামেশ আনাম লিখেছেন, ‘টাইগাররা কি ভাড়ায় খাটে? মনরঞ্জনের নগদ পেমেন্ট ১ কোটি টাকা? এই ছেলেগুলোকে কি ম্যাচিউরড পেশাদারিত্ব কখনই শেখানো হবে না? একটা ভালো কিছু হলেই কোটি টাকা, বাড়ি, গাড়ি। আর সামান্য তিল থেকে তাল গেলে নগদে আছাড়, দেশের বাড়ি পাঠানোর তাড়া। কেমন যেন আনস্মার্ট অ্যাপরোচ !’
শাহরিয়ার নামের একজন লিখেছেন, ‘অবশেষে সকল নাটকের সফল পরিসমাপ্তি এবং মহান আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশ ১০০তম টেস্টে ম্যাচটি জিতে গেল। এই রানও শেষ পর্যন্ত পাহাড়ের সমান মনে হচ্ছিল। যাই হোক ইতিহাস গড়ে ম্যাচটি জেতার জন্য সকল ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ সবাইকে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন। দাদারা দেখে নাও তোমরা যা পারোনি আমরা তা দেখালাম। মাথায় রেখো তোমাদের দিন শেষ হয়ে আসছে। যাক সে কথা, আগামীর জন্য শুভ কামনা।’
জিএম ওবায়দুল্লাহ লিখেছেন, ‘অভিনন্দন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে। জিতলেও আছি, হারলেও আছি, সবসময়ই আছি। এখন সবাই প্রশংসা করবে কিন্তু হারলে যা ইচ্ছা তাই বলতো অনেকে। বাংলাদেশের সমর্থকদের উচিৎ দল সবসময় দলকে সমর্থন দেয়া এবং উৎসাহ দেয়া। সমালোচনা করে আজ পর্যন্ত কেউ দলে ক্ষতি ছাড়া কিছুই করতে পারেনি। জিতলে তালি, হারলে গালি এমন সমর্থক বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের দরকার নাই।’
মুতাসিম বিল্লাহ নাসির লিখেছেন, একটা টেস্ট ম্যাচের জীবন চলছে। উত্থান-পতন, ইগনোর এই ম্যাচের নিত্যঘটনা। শততম ক্রিকেটের এ টেস্টের ফলাফল টেস্ট জীবন ম্যাচকে বলে, যে যা বলুক সব ধারণ কর। ভুলগুলো লিপিবদ্ধ করো। সবকিছু মেনে নিয়ে স্থির থাক। অপেক্ষা কর। ধৈর্য ধর। ধৈর্য…।’
রউফুল আলম লিখেছেন, ‘প্রথম ম্যাচে পারিনি, শততম ম্যাচে হারিনি। অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট! স্বাধীনতার মাসে, বিজয়ের গৌরব!’ মুহাম্মদ রাজিবুল্লাহ লিখেছেন, ‘একটি টিম। যাদের কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই।