
এবিএনএ: ট্রাফিক ই-প্রসিকিউশনের পর পুলিশের ধার্য করা জরিমানা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধের সুবিধা দেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ সুবিধা দিতে টেলিফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) পদ্ধতির সঙ্গে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের ই-প্রসিকিউশন সিস্টেমকে সংযুক্ত করা হয়েছে।
রোববার ডিএমপি সদর দপ্তরে এ লক্ষে ডিএমপি ও গ্রামীণফোনের মধ্যে ভিপিএন কানেকটিং সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার উপস্থিতিতে এমওইউতে ডিএমপির পক্ষ থেকে উপ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী ও গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কর্পোরেট বিজনেজ মো. নাছার ইউসুফ স্বাক্ষর করেন।
এসময় আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘নাগরিক সেবায় ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই। দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করে ভালো নাগরিক সেবা দেওয়ার উদাহরণ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে তৈরি হয়েছে। এটাকে অনুসরণ করে পুলিশের অন্যান্য ইউনিট নিজেদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করছে। যা একটি ভালো দিক। ট্রাফিক পিওএস মেশিনের মাধ্যমে প্রসিকিউশন যেমন সহজ ও স্বচ্ছ হচ্ছে, ঠিক সেই সঙ্গে দুর্নীতিও কমেছে। সরকারের প্রতিটি বিভাগই ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ডিএমপি অনেক এগিয়ে রয়েছে। ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশনের পর জরিমানা পরিশোধ করে ট্রাফিক অফিস বা ক্যুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কাগজ পেতে জনসাধারণের বিড়ম্বনা পেতে হতো। ভালো সেবা দিয়ে বিড়ম্বনা কমানোই আমাদের লক্ষ্য। এই বিড়ম্বনা রোধ করতে ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের পিওএস মেশিনগুলো ভিপিএনের নিরাপদ নেটওয়ার্কের আওতায় আনায় ভবিষ্যতে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড সুইফ করে জরিমানা পরিশোধ করা যাবে।
ট্রাফিক জরিমানা আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ট্রাফিক প্রসিকিউশনে জরিমানা অন দ্যা স্পট ইউক্যাশ সার্ভিসের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় সকলের বিকাশ একাউন্ট রয়েছে। ট্রাফিক জরিমানা অন দ্যা স্পট বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধের জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষকে এর আওতায় আনা হবে। ভবিষ্যতে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড সুইফ করে জরিমানা পরিশোধ করলে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের জরিমানা প্রদান সহজ হবে। প্রয়োজন হবে না কোন কাগজ আটকে রাখার।’
Share this content: