জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

যাত্রীবেশে পুলিশ, ফাঁদে মলমপার্টির ৮ সদস্য

এ বি এন এ : রাজধানীতে দু’টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করে অজ্ঞান ও মলম পার্টি চক্রের মোট আট সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

ঢাকার গাবতলীতে অভিযানকালে মো. মেহেদী হাসান, মো. মনির হোসেন, মো. কামাল হোসেন, মো. আবুল হোসেন, মো. কামাল হোসেন। এছাড়া ভাটারা থেকে মো. বাদশা, মো. জহির ও মোহাম্মদ আফজাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তাদের হেফাজত থেকে বিপুল পরিমাণ চেতনানাশক ওষুধ, তিনটি নিক্স ও চারটি ব্লেড উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতদের একজন মো. মনির হোসেন জানায়, তারা বিভিন্ন এলাকায় যাত্রীবেশে ভ্রমণ করতে। সেডিল, ইপিট্রা, ট্রিপ্টিন, ডরমিকাম জাতীয় ঘুমের ওষুধ পানির সাথে মিশিয়ে ছোট কৌটার মধ্যে সংরক্ষণ করতো এবং সুযোগ বুঝে চা এবং শরবতের সাথে মিশিয়ে তা খাইয়ে যাত্রীদের অজ্ঞান করে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল হাতিয়ে নিত।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহিদুজ্জামানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে গাবতলীতে  অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী, পেশাদার খুনি দমন’ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মাহমুদ নাসের জনিও উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ভাটারা থানার নতুন বাজার চৌরাস্তাতে অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের ডিসি শেখ নাজমুল আলম, এডিসি মো. শাহজাহান। এসময় সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. শরিফুল আলম উপস্থিত ছিলেন। তারা যাত্রীবেশে অভিযান পরিচালনা করেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান ৬ মাস থেকে ২ বছরের বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন।

এদিকে আসন্ন ঈদ ও রোজা উপলক্ষে নগরবাসীর সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দিদার আহমেন।

Share this content:

Back to top button