আমেরিকালিড নিউজ

ম্যারাথন সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন ট্রাম্প

এবিএনএ : উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকের আয়োজন করায় সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুংকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবিশ্বাস্য আয়োজক হিসেবে সিঙ্গাপুরকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীনের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের ক্যাপেল্লা হোটেলে ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হন কিম জন উন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকের পর এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিটের ম্যারাথন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, এক বছরের বেশি সময়ের মধ্যে এটিই ট্রাম্পের প্রথম পূর্ণাঙ্গ সংবাদ সম্মেলন; যেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্ন নিয়েছেন তিনি। তার সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ এ ধরনের সংবাদ সম্মেল ছিল গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি। সিবিএস নিউজের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি মার্ক নোলার বলেছেন, ‘সময়ের হিসেবে এটি ট্রাম্পের দীর্ঘ সময়ের সংবাদ সম্মেলন; যা স্থায়ী ছিল এক ঘণ্টা ৫ মিনিট। এর আগে গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্পে দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনের স্থায়ীত্ব ছিল এক ঘণ্টা ১৭ মিনিট। সম্মেলনে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে তার এই বৈঠককে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, প্রকৃত পরিবর্তন যে সম্ভব তা এতে প্রমাণিত হয়েছে। কিমের সঙ্গে তার ওই বৈঠককে আন্তরিক, খোলামেলা ও ফলপ্রসূ বলে বর্ণনা করেন। মার্কিন এই প্রেসিেডেন্ট বলেন, আমরা একটি নতুন ইতিহাস, একটি নতুন অধ্যায় শুরু করার জন্য প্রস্তুত। আমরা একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছি; যাতে কোরীয় উপদ্বীপকে সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে উত্তর কোরিয়ার দ্বিধাহীন অঙ্গীকার রয়েছে।

তিনি বলেন, শিগগিরই কোরীয় যুদ্ধের অবসান ঘটবে। বৈঠকের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে; সিঙ্গাপুরের জাতীয় দৈনিক দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের জেরেমি অ ইয়ংয়ের এক প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা এই চুক্তি নিয়ে আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছি। বিস্তারিত জানার জন্য আগামী সপ্তাহে (জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) জন বোল্টনের সঙ্গে আমরা বসবো। আমরা ক্ষুদ্র পরিসরে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীনের সঙ্গে কাজ করছি। ‘আমি আবারো আনন্দের সঙ্গে এই দেশে আসবো। তোমাদের প্রধানমন্ত্রী চমৎকার ভালো মানুষ। তিনি খুবই অতিথিপরায়ন।’ বহুল কাঙ্ক্ষিত ওই বৈঠকে কিমের সঙ্গে মানবাধিকার নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ বিষয়টি নিয়ে আরো বিশদ আলোচনা হবে। নিষ্ঠুর কোরীয় যুদ্ধে আটকে পড়াদের ফেরত পাওয়ার আকুতি জানিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার অসংখ্য মানুষের কল, চিঠি ও টুইট আমার কাছে আসে। তারা তাদের ছেলে-মেয়ে, বাবা-মাকে ফেরত চান।

Share this content:

Back to top button