
এবিএনএ : কোরিয়ায় কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি পেলেন বাগেরহাটের মিঠা পুকুর এলাকার বাসিন্দা জিতেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে বিজন বিশ্বাস। ইপিএস কর্মী হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া বিজন তার কোম্পানিতে কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করার পাশাপাশি সহকর্মীদের সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার জেলা শহর ওমসং গুন কর্তৃপক্ষ এ বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে। চলতি মাসে এক আনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজন বিশ্বাসসহ সম্মাননাপ্রাপ্ত অন্যদের হাতে সনদ তুলে দেন ওমসং গুন জেলার গভর্নর লি পিল ইয়োং।
ইপিএস কর্মী হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া বিজন কোরিয়ার ছুংছং প্রদেশের ওমসং গুনের এয়ার পিংক নামের কোম্পানিতে কাজ করতেন। কোম্পানিটি বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ সামগ্রী তৈরী করে থাকে। কঠোর পরিশ্রম, নিরলস প্রচেষ্টায় মৃতপ্রায় কোম্পানিকে সচল কোম্পানিতে ফিরিয়ে আনতে বিজনের রয়েছে অসামান্য অবদান। কর্মদক্ষতা ও পরিশ্রমের অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে নিজের ও দেশের জন্য নিয়ে এলেন বিরল সম্মান। এই সম্মাননা প্রদানের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল কাজ, প্রডাকশন কোয়ালিটি দেখা হয়। ওমসং গুন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বাংলাদেশ দূতাবাসও তার কাজের স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বিজনের এই অর্জনে ভূয়সী প্রশংসা করে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ সার্টিফিকেট প্রদান করেন। বিজনের বাবা জিতেন্দনাথ বিশ্বাস ও ভাই স্বপন বিশ্বাস জানান, ২০০৬ সালে ওয়ার্ক পারমিট কন্ট্রাক্ট নিয়ে প্রথমে কোরিয়া যায় বিজন ওরফে বিপ্লব। পরে তিনি দেশে ফিরে আসেন। পুনরায় ২০১৪ সালে ইপিএস প্রোগ্রামে আবারও কোরিয়া যান বিজন। বাগেরহাট পৌরসভার মিঠা পুকুর এলাকার বাসিন্দা বিজন পরিবারের পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে ষষ্ঠতম। ছোটকাল থেকে ক্রীড়া পাগল বিজন সুনাম কুড়িছেন খেলাধুলায়ও। ১৯৯৯ সালে সে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক অর্জন করেন। মোবাইল ফোনে বিজন বলেন, আমার কোম্পানি বাংলাদেশে একটি কারখানা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমারও ইচ্ছা আছে কোরিয়ার অভিজ্ঞতা দেশে কাজে লাগানোর। নিজ দেশে কারখানা করতে পারলে দেশে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হবে। তিনি বলেন, কোম্পানিতে এখন আমার অধীনে পুরো একটি ডিপার্টমেন্ট চলে। আমাদের কোম্পানিতে অনেক বিদেশি থাকলেও বাংলাদেশি ছিল না। ইতোমধ্যে মালিক বাংলাদেশি নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছেন। বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীকে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। বিজন আরও বলেন, ‘আমরা দ্বায়িত্বের সঙ্গে কাজ করলে দেশের সুনাম বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে কোরিয়াতে বাংলাদেশী কর্মীদের চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে।
Share this content: