
এবিএনএ: আরও একটি চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলে নিজের এবং দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনলেন মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ইনিংসে ৪২১ বলে ১৮ চার এবং ১ ছক্কায় ২১৯ রানের ইনিংস খেলেন মি. ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই ব্যাটসম্যান। এক ইনিংসে একাধিক রেকর্ড ওলটপালট করে দিলেন তিনি। দেশের হয়ে রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি গড়লেন বিশ্বরকের্ডও।
এর আগে টেস্টে দেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের মালিক ছিলেন সাকিব আল হাসান। গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার খেলেছিলেন ২১৭ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস। সেই রেকর্ড আজ ভেঙে গেল। অপরাজিত ২১৯ রান করে দেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক হয়ে গেলেন মুশি। তার এই রেকর্ডের অপেক্ষাতেই ছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। রেকর্ড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৫২২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দিল বাংলাদেশ।
প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করার কৃতিত্বও এই মুশফিকের। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে ঠিক ২০০ রান করেছিলেন তিনি। তার রেকর্ড ভেঙে ২০১৫ সালে ২০৬ রানের ইনিংস খেলেন মহাতারকা তামিম ইকবাল। আজ সবাইকে ছাড়িয়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন মুশি। খেললেন ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস।
শুধু ব্যক্তিগত কিংবা জাতীয় রেকর্ডই নয়; মুশফিক আজ বিশ্বরেকর্ডেও নাম লিখিয়েছেন। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বের আর কোনো ক্রিকেটারই দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি। যা আজ অবলীলায় করে দেখালেন মুশফিক। স্বীকৃত উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বিশ্বে মাত্র ৮জন ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। তারা হলেন ইমতিয়াজ আহমেদ, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, কুমার সাঙ্গাকারা, মহেন্দ্র সিং ধোনি, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, তসলিম আরিফ, ব্রেন্ডন কুরুপ্পু এবং মুশফিকুর রহিম।
ঢাকা টেস্টে রেকর্ড গড়া এই ইনিংস খেলে মুশফিক যেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবেই দলে থাকার যৌক্তিকতাও প্রমাণ করলেন তিনি। উল্লেখ্য, মাঝে কয়েকটি টেস্টে কিপিং গ্লাভস ওঠেনি মুশফিকের হাতে। এই সিরিজেই সেই প্রিয় গ্লাভস তিনি ফিরে পেয়েছেন।
Share this content: