এ বি এন এ : মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ (ওয়ানএমডিবি) থেকে ‘পাচার হওয়া’ ১০০ কোটির বেশি ডলার জব্দ করার চেষ্টা করছেন মার্কিন কৌঁসুলিরা। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রে দায়ের করা এক মামলায় ‘মালয়েশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তার’ বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই ব্যক্তি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তাদের কর্তৃপক্ষ ওয়ানএমডিবি তহবিল বিষয়ে তদন্তে সম্ভাব্য মানি লন্ডারিং, জালিয়াতি, প্রতারণা এবং অন্যান্য অপরাধের সন্দেহে ২৪ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যমানের অর্থ-সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফেডারেল আদালতে গত বুধবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের নাম উল্লেখ না করে ‘মালয়েশিয়ান অফিশিয়াল ১’-এর বিরুদ্ধে একটি দেওয়ানি মামলা দাখিল করা হয়। মার্কিন কৌঁসুলিরা বলেন, ওয়ানএমডিবি থেকে ৩৫০ কোটি ডলার সরানো হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ কোটি ডলার জব্দ করতে চাওয়া হচ্ছে এ মামলায়।
এর আগে মালয়েশিয়ার তদন্তে ওই তহবিল থেকে প্রধানমন্ত্রী নাজিবের ব্যক্তিগত হিসাবে ৬৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার পাচার করার অভিযোগ উঠেছিল।
সমস্যায় পড়া সরকারি তহবিল ওয়ানএমডিবির বিপুল অঙ্কের অর্থ নিজের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করার অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পর দেশে-বিদেশে চাপের মুখে পড়েন নাজিব রাজাক। মালয়েশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল গত জানুয়ারিতে বলেছিলেন, রাজাকের ব্যাংক হিসাবে থাকা ওই অর্থ দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সৌদি রাজপরিবারের অনুদান।
মার্কিন কৌঁসুলিরা বলেছেন, বিলাসবহুল পণ্য ও দামি সম্পত্তি কিনতে শেল কোম্পানির মাধ্যমে ওই তহবিলের অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী নাজিবের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে মালয়েশিয়ার বিরোধী দল পিপলস জাস্টিস পার্টি। নাজিবের নেতৃত্ব নিয়ে গণভোটের জন্য দেশবাসীকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁর বিরোধী হিসেবে পরিচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।