তথ্য প্রযুক্তি

ভুলেও ডাউনলোড করবেন না WhatsApp ‘গোল্ড অ্যাপ’

এ বি এন এ : হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা ভাঙিয়ে ফের সক্রিয় হ্যাকার চক্র। গ্রাহকদের প্রতারিত করে ব্যক্তিগত তথ্য লুঠের উদ্দেশে চলেছে ‘হোয়াটসঅ্যাপ গোল্ড আ্যাপ’-এর ব্যাপক প্রচার। ফাঁদে পা দিলেই সর্বনাশ! আপনার মোবাইল ফোনে ‘হোয়াট্সঅ্যাপ গোল্ড আ্যাপ’ ডাউনলোড করার মেসেজ এলে সাবধান! এই বিজ্ঞাপনের আড়ালে রয়েছে আপনার ব্যক্তিগত ডেটা চুরি করার দুরভিসন্ধি। মেসেজে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করলে পৌঁছে যাবেন www.goldenversion.com ওয়েবসাইটে। বিশেষ অ্যাপটি ডাউনলোড করার জন্য ওই ওয়েবসাইটে দেওয়া নির্দেশ মেনে ক্লিক করতে হবে। কিন্তু সেই কাজটি করলেই পড়বেন মহা বিপদে।

 

মোবাইল মেসেজ ও ওয়েবসাইটের ভাষ্য অনুসারে, হোয়াটসঅ্যাপের এই এক্সক্লুসিভ সংস্করণ বিশ্বের মুষ্টিমেয় সেলেবরা ব্যবহার করেন। এই অ্যাপের সাহায্যে একই সঙ্গে পাঠানো যাবে ১০০টি ছবি। এ ছাড়াও রয়েছে ভিডিও কলিং, ফ্রি কলিং, হোয়াট্সঅ্যাপ থিম পরিবর্তন করার মতো বেশ কিছু লোভনীয় ফিচার্স। কিন্তু লোভের ফাঁদে পা দিলেই মুশকিল।

 

অ্যাপটি ডাউনলোড প্রক্রিয়ার সাহায্যে আসলে আপনার ব্যক্তিগত ডেটা চলে যাচ্ছে হ্যাকারদের জিম্মায়। পাশাপাশি, আপনার প্রতিটি পদক্ষেপের ওপর থাকছে তাদের কড়া নজর। প্রোগ্রামটি ডাউনলোডের সঙ্গে সঙ্গে আপনার ডিভাইস ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হবে আর সেই সূত্রেই ব্যক্তিগত ডেটায় থাবা বসাবে হ্যাকার চক্র। তবে হোয়াট্সঅ্যাপের নামে লোভ দেখিয়ে অতীতেও ডেটা হাতানোর ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। এমনই এক ভুয়ো প্রচারের ঢল নেমেছিল ‘হোয়াট্সঅ্যাপ প্লাস’ ঘিরে।

 

এ কারণে এই বিষয়ে হোয়াট্সঅ্যাপের নিজস্ব ওয়েবসাইটে FAQ সেকশনে একটি সতর্কতা জারি করা রয়েছে। সেখানে সাফ বলে দেওয়া হয়েছে, ‘হোয়াট্সঅ্যাপ প্লাস অ্যাপ্লিকেশনটি হোয়াট্সঅ্যাপের তৈরি নয়। অ্যাপটি হোয়াট্সঅ্যাপ দ্বারা অনুমোদিতও নয়। এই অ্যাপে এমন কিছু সোর্স কোড রয়েছে যার কারণে ব্যক্তিগত ডেটার নিরাপত্তা সম্পর্কে হোয়াট্সঅ্যাপ কোনও গ্যারান্টি দিতে পারছে না। এই সূত্রে অনুমতি ছাড়াই গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় ব্যক্তির হস্তগত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ ওই সতর্কীকরণে আরও বলা হয়েছে, ‘অবিলম্বে অ্যাপটি আনইনস্টল করুন এবং গুগল প্লে থেকে হোয়াট্সঅ্যাপ ডাউনলোড করুন। শর্তানুযায়ী ২৪ ঘণ্টা পর থেকে আপনি হোয়াট্সঅ্যাপ ফের ব্যবহার করতে পারবেন।

 

‘ আসলে হোয়াট্সঅ্যাপ কখনওই মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে কোনও বিজ্ঞাপন প্রচার করে না। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ই-মেল ছাড়া আর কোনও মাধ্যমে গ্রাহকদের বার্তা দেওয়ার চল তাদের নেই। মোবাইল স্ক্রিনে ভুতুড়ে মেসেজ ভেসে উঠলে তাই দেরি না করে দ্রুত ডিলিট করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

Share this content:

Related Articles

Back to top button