

এবিএনএ : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে ইভিএমেই ভোট হবে। এরপর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যতটুকু সম্ভব ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। আর ভবিষ্যতে সব নির্বাচনই ইভিএমে করা হবে। তার জন্য আইনগত কাঠামো তৈরি হয়েছে।
বুধবার সকালে বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। সভায় নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর উর রহমান। সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর হোসেন, বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞাসহ র্যাব, বিজিবি, আনসারের স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে সিইসি কে এম নুরুল হুদা সাংবাদিকদের আলাদাভাবে বিফ্র করেন।
আগামী ২৪ জুন বগুড়া-৬ (সদর) শূন্য আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ওই নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। এজন্য নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তাকে এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এমনকি প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদেরও ইভিএমে ভোট প্রদান পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২২ জুন প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমে মক ভোট গ্রহণ করা হবে। এ আসনে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৮ জন ভোটারের জন্য ১৪১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ পাঁচটি রাজনৈতিক দল এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে মোট ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
সিইসি নুরুল হুদা বলেন, ইভিএম নতুন পদ্ধতি হলেও এতে ভোট প্রদান খুব সহজ। স্বচ্ছভাবে ভোট দেওয়া যায়। ভোট শেষে এক দেড়-ঘন্টার মধ্যে ফলাফল দেওয়া সম্ভব। আগের মতো রাত জেগে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে না জানিয়ে সিইসি বলেন, বগুড়ায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রয়েছে। এই নির্বাচনে সেনা সদস্য মোতায়েন করা হবে না। তবে বুথগুলোতে ইভিএমের টেকনিক্যাল পার্সন হিসেবে সেনা সদস্যরা থাকবে। তারা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবে না। ইভিএমে কোনো সমস্যা হলে তারা দেখবে।
সভায় বগুড়া-৬ (সদর) শূন্য আসনে নির্বাচন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, একটি আসনে নির্বাচন হলেও এটিকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এখানকার নির্বাচন পরিবেশ এবং প্রার্থীদের আচররণবিধি মেনে চলার প্রবনতা অনেক ভালো। সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার সব কৃতিত্ব ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ তাদের কর্মী-সর্মথকদের। প্রার্থী, তাদের কর্মী-সর্মথক ও ভোটররা যদি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেন, তাহলে নির্বচানী কর্মকর্তাদের ভার অনেক কমে যায়। সুষ্ঠু ও প্রতিযোগীতামূলক পরিবেশের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশা করছি।