বাংলাদেশরাজনীতিলিড নিউজ

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র সফল হবে না: প্রধানমন্ত্রী

এবিএনএ: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে সফল হতে পারেনি। এবারও তারা ষড়যন্ত্র করে সফল হতে পারবে না। কারণ জনগণ আমাদের সাথে আছে। দেশের জনগণ নির্বাচন চায়, তারা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে চায়। বৃহস্পতিবার ধানমণ্ডিতে নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, সবাই দাবি করেছে তাই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সময় পিছিয়ে দিয়েছে। সবাই যখন আসলো তখন একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হলো নির্বাচনে। কিন্তু জনগণ যখন নির্বাচন নিয়ে উৎসবমুখর হয় তখন বিএনপির খুব খারাপ লাগে। সেটাই গতকাল (বুধবার) দেশবাসী দেখল। কোনো কথা নাই, বার্তা নাই মিছিল নিয়ে এসে মারপিট করল, পুলিশকে আহত করল, পুলিশের গাড়ি পোড়াল। ২০১৫ সালে তারা যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে সেই একই কায়দায় এসব করল। অগ্নিসন্ত্রাস ছাড়া, মানুষ পোড়ানো ছাড়া বিএনপি কোনো কাজ করতে পারে না এটাই প্রমাণ করেছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কাজ করার পর একজনের দোষ আরেকজনের ঘাড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, যেটায় তারা পারদর্শী। যেখানে ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কারা এসব করেছে, সেখানে তারা হুট করে বলে দিল ছাত্রলীগ, যুবলীগের ছেলেরা এ কাজ করেছে। ছাত্রলীগ গেল কখন। তারা যাবেই বা কেন। ভিডিও ফুটেজেও তো সবার চেহারা দেখা যাচ্ছে একটাও কি ছাত্রলীগ-যুবলীগের কারো চেহারা আছে? সবই তো বিএনপি’র গুন্ডাদের চেহারা। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা আগেও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, পুলিশের গাড়ি পুড়িয়েছে। পুলিশ এ সময় ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। এবারও তারা ধৈর্য দেখিয়েছে। তাই পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন দেশে নির্বাচন নিয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তখন এই ধরণের ধ্বংসযজ্ঞ দুঃখজনক। বিএনপি নির্বাচনে আসবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই নির্বাচন যেন হয় সেটার জন্যই কাজ করতে হবে, বানচাল যেন না হয় সেই চেষ্টাই করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গত দশ বছরে দেশে যে উন্নয়ন করেছে আমরা খুব আশাবাদী আবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হব, জনগণ ভোট দেবে। উন্নয়নের যে গতি আমরা সৃষ্টি করেছি তা অব্যাহত থাকবে দেশ এগিয়ে যাবে। জনগণ তাদের জীবনমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেবে সেই বিশ্বাস আমাদের আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা দেশের উন্নয়নের এই গতি নষ্ট করতে চায়। যখন সাধারণ মানুষ যখন সুখে থাকে তখন বিএনপির মনে কষ্ট দেখা দেয়। এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের নেত্রী কারাগারে। আরেকজন গ্রেনেড হামলা, চোরাকারবারসহ নানা অপকর্মের সাজা নিয়ে পলাতক। এদের নিয়ে তারা দল করে। খুনি-ডাকাত-দুর্নীতিবাজ সবাই তাদের নেতা হতে পারে। একদল বড় বড় কথা বলে এখন তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে।

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাসসহ যে কোনো অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ড দেশবাসীকে রুখে দাঁড়াতে হবে। তাদের ভোটের অধিকার, তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, তাদের সাংবিধানিক অধিকার তাদের রক্ষা করতে হবে। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এবং গণতন্ত্রের ধারাকে সমুন্নত রাখতে আমরা তাদের পাশে আছি এবং থাকব।

Share this content:

Related Articles

Back to top button