আন্তর্জাতিক

ব্যাপক ক্ষমতা আমাকে স্বৈরাচারী করবে না: এরদোগান

এবিএনএ : গণভোটে বিজয়ের পর অর্জিত ব্যাপক ক্ষমতা তাকে স্বৈরাচারী করবে না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান।
মঙ্গলবার আঙ্কারার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
এটাই ছিল গণভোটে বিজয়ের পরে তার প্রথম কোনো সাক্ষাৎকার।
এরদোগান বলেন, ‘গণভোটের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটা সংবিধান সংশোধনের। আমাকে নিয়ে কোনো কিছু নয়। আমি জানি আমাকে একদিন মরতে হবে। আমি থাকব না। কিন্তু এই পরিবর্তন তুর্কি রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে একটি উন্নত অবস্থায় নিয়ে যাবে।’
নতুন ক্ষমতা পেয়ে এরদোগান স্বৈরাচারী হয়ে যাবেন বিরোধীদের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘যেখানে স্বৈরতন্ত্র থাকে সেখানে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতি থাকে না। এখানে ব্যালট বাক্স আছে। জনগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। এই পরিবর্তনকে জাতীয় ইচ্ছার প্রতিফলন বলা যায়।’
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইইউ তুরস্ককে ৫৪ বছর ধরে ঝুলিয়ে রেখেছে। এটা তাদের ওয়াদা ছিল যে, তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত করে নেবে। তাদের শর্ত পূরণ করতে আমরা সবকিছুই করেছি। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে কথা রাখতে। তারা কথা রাখেনি। এখন দেখতে চাই তারা কী পদক্ষেপ নেয়।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ভবিষ্যতে একটি বৈঠকও করতে চান তুরস্কের এই আধুনিক ‘সুলতান’। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে সুন্দর কথা হয়েছে। এখন আমরা একটি মুখোমুখি বৈঠকের অপেক্ষায় আছি। গণভোটের পর ট্রাম্পের ফোনকল আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই আমরা।
গত ১৬ এপ্রিল সংবিধান সংশোধনের গণভোটে তুরস্কের ৫১ ভাগের বেশি জনগণ ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়ে এরদোগানের পক্ষে রায় দেন। আর ‘না’ভোট দেন ৪৯ শতাংশ নাগরিক। এর মধ্য দিয়ে তুরস্ক সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে কার্যত প্রেসিডেন্সিয়াল শাসন ব্যবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।

Share this content:

Related Articles

Back to top button