জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

বেসরকারি হাসপাতালে ৮০ শতাংশ সিজারিয়ান ডেলিভারি

এবিএনএ : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বেসরকারি হাসপাতালে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত সিজারিয়ান ডেলিভারি করা হয়। সরকারি হাসপাতালে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হয়।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আায়োজন করা হয়।
অপ্রয়োজনে সিজার মায়ের জন্য ক্ষতিকর জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে সি-সেকশন (সিজারিয়ান ডেলিভারি) অনেক বেড়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্রহণযোগ্য হার হচ্ছে প্রতি হাজারে ১৫ জন। সরকারি হাসপাতালে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হয়। সরকারি হাসপাতালে জটিল কেসগুলো আসে বলে (সিজারিয়ান ডেলিভারি)  বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানিক ডেলিভারির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। এখন এটা (প্রতিষ্ঠানিক ডেলিভারির হার) ৪২ শতাংশ, এই হার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া দরকার। ক্লিনিক বা হাসপাতালে যদি ডেলিভারি না হয়, বাসা-বাড়িতে হয় যেখানে প্রশিক্ষত নার্স বা মিডওয়াইফ থাকে না। সেজন্য মা ও শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আরো সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিজার কমানোর জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে চেকলিস্ট নামে একটি ফর্ম দেওয়া। সেই ফর্মে বিভিন্ন ধরনের রিকয়্যারমেন্ট আছে। সেটা ফিলাপ করে আমাদের দিতে হবে। রোগীর টোটাল তথ্যটা-কেন, কী কী কারণে তাকে সিজার করা হল, পরিবারের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কি না, এটার জটিলতা ছিল কি না। বিভিন্ন ধরনের কমেন্ট ওখানে আছে, এটা আমাদের কাছে আসবে। প্রয়োজন ছাড়া করলেও সেটা ওখানে পড়ে যাবে। অযথা সিজার না করার জন্য সবাইকে বলা আছে।
তিনি আরো বলেন, গত দুই মাস আগে হাসপাতালগুলোতে ফর্ম দেওয়া হচ্ছে, আমরা এখন ফিডব্যাক করছি। ফর্ম ফিলাপ হয়ে আসার পর আমাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল থাকবে, তারা ওটা দেখবেন। দেখার পর কোথাও গাফিলতি পাওয়া গেলে অবশ্যই যে শাস্তি বিধানে আছে, তা দেব। যে প্রতিষ্ঠান এই কাজ করবে তাদের জরিমানা ও বন্ধ করে দেওয়া হবে। অন্যায় কাজ করলে তো ছেড়ে দেওয়া হবে না। এ সময় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ফয়েজ আহম্মদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button