এবিএনএ: মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বুধবার (৯ আগস্ট) তাইওয়ান ছেড়ে গেছেন। সংক্ষিপ্ত সফর শেষে তিনি গণতন্ত্রের কথা বলেছেন এবং তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সংহতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পেলোসি বলেছেন, ‘বিশ্ব নেতাদের তাইওয়ান সফরে বাধা দিতে পারে না চীন।’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
এদিকে, তাইওয়ান থেকে ন্যান্সির যাওয়ার পরই শুরু হয়েছে চীনের সামরিক শক্তির প্রদর্শন। তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক কুচকাওয়াজ করছে তারা। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) একেবারে গোলাবারুদ-সহ চীনের সামরিক কুচকাওয়াজ চলবে। তাইওয়ানকে পুরোপুরি ঘিরে ধরে এই কুচকাওয়াজ হবে। তাইওয়ানের দাবি, চীন এই কুচকাওয়াজ শুরু করলে ১৮টি আন্তর্জাতিক রুট বন্ধ করে দিতে হবে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাইওয়ানের ১২ নটিক্যাল মাইল সমুদ্র ও আকাশসীমার মধ্যে চীন পরিকল্পিতভাবে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ। বুধবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক টুইটার পোস্টে বলেছে, ‘২৭টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে।’
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে তাইপে বিমানবন্দরে পৌঁছান ন্যান্সি পেলোসি। সেখানে দেশটির নেতৃবৃন্দ তাকে স্বাগত জানান। ন্যান্সি পেলোসির সংক্ষিপ্ত তাইওয়ান সফর শেষ হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই চীন এসব কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।
পেলোসি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনকে বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিনিধিদল তাইওয়ানে এসেছে দ্ব্যর্থহীনভাবে স্পষ্ট করে দিতে যে আমরা তাইওয়ানকে পরিত্যাগ করব না। এখন তাইওয়ানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আজকে সেই বার্তাই দিতে এসেছি।’
চীনের কঠোর সমালোচক ন্যান্সি পেলোসি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রাজনৈতিক মিত্র হিসেবে পরিচিত। অর্থনৈতিক, সামরিক ও ভূরাজনৈতিক কারণে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব যখন চরমে, তখন তাইওয়ান সফরে গেলেন ন্যান্সি পেলোসি। এর আগে মার্কিন নিম্নকক্ষের স্পিকার হিসেবে সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন নিউট গিংরিচ।