
এবিএনএ : প্রস্তাবিত বাজেটকে নির্বাচনের নয় বরং জনগণের বাজেট বলে জানিয়েছেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মেঘনাঘাট পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, এই বাজেট আওয়ামী লীগের কোনো নির্বাচনী বাজেট নয়। এটা একটা জনবান্ধব বাজেট হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেন, আলোচনা-সমালোচনার পর বাজেটে কোনটা থাকবে, কোনটা থাকবে না সেটা দেখা যাবে। বড় বাজেট বড় চ্যালেঞ্জ; বড় চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার সৎ সাহস একমাত্র শেখ হাসিনার সরকারেরই রয়েছে। এ বাজেট বাস্তবায়ন সরকারের একটা চ্যালেঞ্জ বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের যে বাজেট সংসদে পেশ করা হয়েছে, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হবে। আলোচনার পর প্রয়োজনীয় সংশোধনীর পর বাজেট পাশ হবে। তিনি বলেন, এ বাজেটে কয়েক লাখ মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনা হয়েছে। এ বাজেটে গরীব মানুষের স্বার্থকে সবচেয়ে বড় করে দেখা হয়েছে। বাজেট নিয়ে বিএনপি নেতাদের বেপরোয়া মন্তব্য দেখে বোঝা যাচ্ছে বাজেট ভালো হয়েছে। আসন্ন ঈদ যাত্রায় মানুষের ভোগান্তি হবে না আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, সড়ক-মহাসড়ক বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে তাতে যানজট হবে না। তিনি বলেন, টোল প্লাজায় ভাংতি টাকার জন্য অনেক সময় যানজট তৈরি হয়। সেজন্য প্রয়োজনীয় ভাংতি টাকা রাখার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আপতকালীন সমস্যা নিরসনে মেঘনা ও গোমতি নদীতে ফেরি সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ জুন থেকে মেঘনা নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে। তবে গোমতি নদীতে ড্রেজিং ছাড়া ফেরি সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে না। আগামী ঈদুল আজহার আগে এ নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে। এতে উভয় স্থানে যানজট সমস্যা নিরসন হবে বলে আশা করা যায়। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের আগেই মেঘনা ও গোমতি সেতুর ফোরলেন সেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এ সেতুগুলো চালু হলে তিন ঘন্টার মধ্যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে। এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের সংশ্লিষ্ট উর্ধ¦তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Share this content: