জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

‘বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পনাবিদ নিয়োগের কথা ভাবছে সরকার’

এবিএনএ: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম বলেছেন, পরিকল্পিত দেশ গঠনে পরিকল্পনাবিদদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। বর্তমান সরকার পরিকল্পিত দেশ গঠনে পৌরসভাসহ এ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে একজন করে পরিকল্পনাবিদ নিয়োগ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। তিনি আজ শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানার্স (বিআইপি) আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং-২০২১’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

সুন্দর ও ছবির মতো একটি দেশ করার জন্য পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রয়োজন এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে পরিকল্পনাবিদের অংশগ্রহণও অনস্বীকার্য। কারণ, টেকসই উন্নয়নের জন্য সবকিছু পরিকল্পিতভাবে করতে হবে। শহর, নগর ও  গ্রাম পরিকল্পনা অনুযায়ী না করলে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে পড়বে। বিআইপি’র প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডক্টর আখতার মাহমুদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও জার্মান ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের প্রধান জোহানেস সেহিইনডার।

এলজিআরডি মন্ত্রী এ সময় জানান, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন স্বাভাবিকভাবেই নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। স্বল্প জমি ব্যবহার করে অধিক নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, এ লক্ষ্যে পৌরসভা ছাড়াও যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানে পরিকল্পনাবিদ নিয়োগের ব্যবস্থা নিবে সরকার।

তিনি বলেন, আবাসিক, বাণিজ্যিক, স্কুল-কলেজ, ক্লিনিক-হাসপাতাল, খেলার মাঠ, বিনোদন কেন্দ্র-এসবের কোনটা কোথায় হবে তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব পরিকল্পনাবিদদের। গ্রাম-নগর সবখানেই অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো নির্মিত হচ্ছে। মন্ত্রী পরিকল্পিত অবকাঠামো গড়তে নগরবিদ এবং স্থাপত্যবিদসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্ব নেওয়ারও আহ্বান জানান।  তাজুল ইসলাম বলেন, ওয়াসার নিকট থেকে খালের দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে দেওয়ার পর তারা দখলকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে সংস্কার করছে। রাজধানীর সকল খালগুলোকে হাতিরঝিলের আদলে গড়ে তোলা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, এটা করা হলে ঢাকা মহানগরী বিশ্বের মধ্যে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও বাসযোগ্য নগরে রূপান্তরিত হবে। যেসব পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সে-সব পৌরসভার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে পৌরসভার রাজস্ব আয় কয়েকগুণ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সেক্টরে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতাও বেড়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

Share this content:

Back to top button