আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

বিতর্কিত ধর্মগুরু রাম রহিম ভক্তদের তাণ্ডব, নিহত ৩১

এবিএনএ : বিতর্কিত ধর্মগুরু রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করে দেয়া রায়ের সহিংস প্রতিবাদে হরিয়ানায় ৩১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রায় ঘোষণার পরপরই পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। লাঠি, বাঁশ, ইট-পাথর নিয়ে পুলিশের উপর হামলে পড়ে ধর্মগুরুর সমর্থকরা। পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও গুলি চালায়।
এতে ৩১ জন নিহত ও ১৫০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘর্ষ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। পাঞ্জাবের দু’টি রেলওয়ে স্টেশনে ইতিমধ্যেই আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন রাম রহিমের সমর্থকরা। দুই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় থানা এবং সরকারি দফতরে আগুন লাগানো শুরু হয়েছে। পাঁচকুলাতেই শুধু ১৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে পাঁচকুলা ছাড়াও পাঞ্জাবের ভাতিন্ডা, মনসা, মুকতাসর, ফিরোজপুরে কার্ফু জারি করা হয়েছে। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ডেরা সাচা সওদার প্রধান ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের বিরুদ্ধে নিজের এক শিষ্যকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সোমবার তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করবে আদালত। আইন অনুযায়ী তার সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। শুক্রবার হরিয়ানা রাজ্যের পঞ্চকুলার বিশেষ সিবিআই আদালত বাবা রামকে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করে।
রায়ের পর আদালত তাকে আমবালার অস্থায়ী কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এরপর কড়া নিরাপত্তায় রাম রহিমকে নিয়ে কারাগারের পথে রওনা করে নয়টি গাড়ির বহর। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়ে তার ভক্তরা। উল্লেখ্য, হরিয়ানার সিরসা শহরের কাছে অবস্থিত এলাকার ডেরা সাচা সওদার সদর দফতরের ভেতরে একজন শিষ্যকে রাম রহিম নিয়মিত ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।ধর্ষিতা ২০০২ সালে থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে তিনি দাবি করেন, ১৯৯৯ সালে রাম রহিম তাকে ধর্ষণ করেন।

Share this content:

Related Articles

Back to top button