
এবিএনএ: তাইজুলের ঘূর্ণিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস। তাইজুলের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না কেউই। একাই ৭ উইকেট নিজের ঝুলিতে জমা করলেন তাইজুল। বাংলাদেশের ছোড়া ৩৩০ রানকে ছুঁতে পারল না পাকিস্তান। ২৮৬ রানেই গুড়িয়ে গেল পাকিস্তানের ইনিংস। ৪৪ রানের লিড পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টের সকাল মানেই বোলারদের দাপট। ব্যাটারদের টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ।শুক্রবার প্রথম দিনে সকালে বাংলাদেশের ৪ উইকেট নিয়ে ফেলে পাক বোলাররা। তবে লড়াইয়ে টিকে থেকে গোটা দিনটাই পার করে দেন লিটন ও মুশফিক। পরদিনই সকালে চ্যালেঞ্জে হারেন লিটন। মাত্র ১ রান যোগ করে ফেরেন। এরপর শাহিন, হাসানের সুইংয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসে ৩৩০ রানে থামে বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিনের সকালেও উইকেটের সেই চ্যালেঞ্জ নিতে পারেননি পাক ব্যাটাররা। বলতে গেলে তাইজুলের চ্যালেঞ্জে হেরে গেলেন পাক ব্যাটাররা। তাইজুল একাই নিলেন ৭ উইকেট। তাইজুলের ঘূর্ণিতে সাজঘরে ফিরেছেন – ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক (৫২), আজহার আলি (০), ফাওয়াদ আলম (৮), ওপেনার আবিদ আলি (১১৩), হাসান আলি (১২), নুমান আলি (৮) এবং ফাহিম আশরাফ (৩৮)।সর্তীথের মতো ভেলকি দেখিয়েছেন মিরাজও। তুলে নিলেন বাবর আজমের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
৭৩তম ওভারে মিরাজের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বলের গতিবিধি বুঝলেনই না বাবর। অফস্ট্যাম্পের বাইরে পিচ করা ডেলিভারিটি পেছনে পায়ে আলতো ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন বাবর। কিন্তু সেই বলটি টার্ন না করা সোজা চলে যায় বাবরের ব্যাটের বাইরের কানা দিয়ে, সোজা আঘাত হানে অফস্ট্যাম্পে। ৪৬ বলে ১০ রান করলেন বাবর। এরপর পেসার এবাদতের ক্ষুরধার বোলিং দেখে ক্রিকেটপ্রেমীরা।
৯০তম ওভারে এবাদতের প্রথম ডেলিভারিটি ডিফেন্ড করতে গিয়ে ব্যর্থ হন উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। বল লাগে প্যাডে। আপিলের চিৎকারে হাত উঁচু করেন আম্পায়ার। ৩৮ বলে মাত্র ৫ রান করেই সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান। এবাদতের দ্বিতীয় সাফল্য সাজিদ খান। ৫ রানে ব্যাট করা সাজিদের স্টাম্প উড়িয়ে দেন তিনি।
Share this content: