
এবিএনএ : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মানুষ হিসেবে আমার যেমন একটা ভোট আছে তেমনি এদেশের সংখ্যালঘু মানুষেরও একটা ভোট দেয়ার অধিকার রয়েছে।’
তিনি বলেন, আজ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তাদের যোগ্যতা বলে সচিব, এসপি, ডিসি ও বড়-বড় কর্মকর্তা হচ্ছেন। এটা একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আছে বলেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তাদের মর্যাদা ও অধিকার সমানভাবে ভোগ করতে পারছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন সিকদার। সম্মেলনে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা এডভোকেট রানা দাস গুপ্ত, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, মিলন কান্তি দত্ত ও শ্রীমতি মঞ্জু ধর বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তাপস কুমার পাল।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ না নেয়ার জন্য নানা পথ খুঁজছে। শুধু খুলনায় নয়, বার কাউন্সিল নির্বাচনেও বিএনপি পরাজিত হয়েছে। তাই তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আদালত বেগম খালেদা জিয়ার জামিন দিয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় বাংলাদেশে আইনের শাসন বিদ্যমান। এ ব্যাপারে সরকারের কোন হাত নেই। বেগম জিয়া যেসব মামলায় আটক সেসব মামলা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের করা নয়। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের মামলায় তিনি ১৫২ দিন আদালতে হাজির হননি।’ তাই আদালতের মামলার রায় দিতে দেরি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সেতু মন্ত্রী আরো বলেন, বিদেশে গিয়ে নালিশ করে কোন লাভ নেই। বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে এদেশে কে ক্ষমতায় থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা ভারত সফরে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনা করিনি। দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সীমান্ত চুক্তির সফলতার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি শিগগিরই তিস্তা পানি চুক্তি হবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। বঙ্গবন্ধু ও ইন্দিরাগান্ধী ১৯৭১ সালে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের যে ভিত রচনা করে গিয়েছিলেন তা বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে আরো উচ্চতায় নিয়ে গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
Share this content: