এবিএনএ : বার্লিনে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ডব্লিউ-২০ সম্মেলন। এবার মূল উপজীব্য ছিলো ‘কর্মজীবী নারীই পারেন পরিবার ও কাজের সঠিক সমন্বয় করতে’।
সম্মেলনে ইভানকা যে প্রশ্নটির সম্মুখীন হন সেটি ছিলো এরকম, ‘নিজের উচ্চ আশা আর পরিবারের চাওয়া- এ দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য করতে সাধারণত হিমশিম খান এই সময়ের নারীরা। কিন্তু হোয়াইট হাউসে এই প্রথম কোন নারীকে দুটো ব্যাপার সুষমভাবে সমন্বয় করতে দেখা গেল। ইভানকা একজন ফার্স্ট ডটার, একজন মার্কিন নাগরিক এবং একজন তরুণ উদ্যোক্তা। কোন পরিচয়টি সত্যিকারভাবে আপনাকে প্রদর্শন করে অথবা কোন পরিচয়টি আপনার পছন্দ?’
ট্রাম্পকন্যার জবাব ‘একজন তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে বক্তৃতা করতেই আমার ভালো লাগে। যদিও এখনো শিখছি। সবার কথা শুনতেই আমার বেশি পছন্দ।’
ইভানকা জানান, হোয়াইট হাউসে তিনি যে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছেন সেটি তার প্রিয় কাজের একটি। বাবাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিতেও পছন্দ করেন তিনি। এটা আসলে বাবার কাছে শেখা অভিজ্ঞানই বাবাকে ফিরিয়ে দেওয়ার মতো। ইভানকা তার বাবাকে সংজ্ঞায়িত করেন এভাবে, ‘পরিবারের জন্য তিনি নিবেদিতপ্রাণ মানুষ, পরিবারে চ্যাম্পিয়নও।’ কিন্ত মিডিয়া তো বলে ইভানকাকে হোয়াইট হাউসে বসানো আসলে স্বজনপ্রীতি- এমন প্রশ্নের জবাবে ইভানকা বলেন, ‘আমি শুনেছি এমন সমালোচনা। তবে বাবা বিশ্বাস করেন একজন নারী প্রকৃতপক্ষে সবচেয়ে সম্ভাবনাময়। নারী ছাড়িয়ে যেতে পারে পুরুষকেও।’
ইভানকা সাংবাদিকদের যখন এসব কথা বলেন তখন পাশেই ছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর অঙ্গেলা মার্কেল। নারী-পুরুষের সমান বেতন-ভাতা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মার্কেলকে ধন্যবাদ দেন ট্রাম্পকন্যা।
সামনে জি-২০ সম্মেলন, যেটি নিয়েও কাজ করছে এই প্যানেল। মার্কেল বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তাদের জন্য যেন ঋণ পেতে কোন ঝামেলা হয় সেই বিষয়টি আরও সহজ হওয়া দরকার।’ ‘ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প’ একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন মার্কেল। এরকম আরও অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করার কথা বলেন তিনি।
বুধবার জার্মানির একটি কারিগরী কলেজ পরিদর্শন করেন ইভানকা ট্রাম্প। সঙ্গে ছিলেন চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। সম্মেলনে প্যানেল আলোচনা মঞ্চে আরও ছিলেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দে ও নেদারল্যান্ডসের রানী ম্যাক্সিমা।
Share this content: