এবিএনএ: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিকে আহ্বান জানিয়েছেন। মোদি বলেন, আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জরুরি। দক্ষিণ এশিয়ায় জঙ্গি দমনে ভারত তার জিরো টলারেন্সের কথাও উল্লেখ করেছে। একই সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছে, বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার। জাতিসংঘ মহাসচিব ছাড়াও আসিয়ানের অন্য নেতারাও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কার্যকর ভূমিকা নিতে নেইপিদোকে চাপ প্রয়োগ করেছেন।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে চলছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০ জাতির জোট আসিয়ান সম্মেলন। এতে গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসছে রোহিঙ্গা ইস্যু। সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আলোচনা করেন, মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গে। এ সময় মোদি রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নিতে সু চিকে আহ্বান জানান। বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন দেখতে চায় নয়াদিল্লি।
মোদি-সু চি বৈঠকের মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নয়াদিল্লি, ঢাকার পাশে থাকবে বলে উল্লেখ করেন। বছরের পর বছর ধরে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বোঝা টেনে যাওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসাও করেন তিনি।
আসিয়ান সম্মেলনের আরেক পার্শ্ববৈঠকে থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রসের সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলেন। এর আগে জাতিসংঘ মহাসচিবও রোহিঙ্গা সংকট গভীর উদ্বেগের কথা জানান। অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, রোহিঙ্গারা এখন কক্সবাজারে বাস করছে, তবে তাদের স্থান রাখাইন। মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে সব রকমের কার্যক্রম চালাতে হবে। কিন্তু তারা যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছে তা সত্যিই গভীর উদ্বেগের। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিশ্ব নেতাদের উদ্বেগের মধ্যেই এই সপ্তাহেই কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী এলিস ওয়েলস ও মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার উপ-প্রশাসক বনি গ্লিক।