

এবিএনএ : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম হয়রানি ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের হয়রানির খবরে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র।’ বার্নিকাটের ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আপনারা দয়া করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে নাক গলাবেন না। এটা কোনো স্বাধীন সার্বোভৌম দেশের জন্য কল্যাণকর এবং গ্রহণযোগ্য নয়।’ আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের রাউন্ড টেবিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ভারতের পশ্চিম বঙ্গের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়েও অনেক ভাল হয়েছে।’ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, ‘ভারতের গণতন্ত্র ৭০ বছরের বেশি পুরানো। সেই ভারতের পার্শ্ববর্তী অগ্রসর রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে কদিন আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনের আগেই তৃনমূলের ৩০শতাংশ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছে এবং নির্বাচনের সময় সহিংসতায় ছয় জনেরও বেশি লোক মৃতুবরণ করেছে। সেখানকার তুলনায় গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনেক সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।’ বিদেশী রাষ্ট্রদূতবর্গকে অনুরোধ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনাদের কোন পরামর্শ থাকলে তা আপনারা সরকারের সাথে যখন বৈঠক হয় সেখানে আলোচনা করতে পারেন। কিন্তু জনসম্মুখে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য রাখা সমিচিন নয়। আপনারা দয়া করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে নাক গলাবেন না। এটা কোনো স্বাধীন সার্বোভৌম দেশের জন্য কল্যাণকর এবং গ্রহণযোগ্য নয়।’ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হাছান উদ্দিন সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দুই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে বিএনপির প্রার্থী পরাজিত হলো। আর বিএনপি এমন একজন প্রার্থী দিলেন যাকে দুইজন ধরে উঠাতে এবং বসাতে হয়। যার পরিবার আহসান উল্লাহ মাস্টারের খুনের সাথে যুক্ত । সুতরাং যে প্রার্থী চলনক্ষম নয় সেই প্রার্থীর দলও তাকে নিয়ে হাঁটতে চলতে পারবে এমন মনে করারও কোন কারণ নাই। বিএনপি নেতাদের অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আপনারা বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টিকে বাংলাদেশ নালিশ পার্টি বানাবেন না এবং বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের বিভ্রান্ত করার পথ পরিহার করে নিজেদের দলের ঐক্য এবং সংহতি প্রতিষ্টা করুন।’ আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা শিহাব রিফাত আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী এ্যাড. কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. শামসুল হক টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েত ইসলাম স্বপন, প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ।