আন্তর্জাতিক
বর্জ্য আমদানি করছে সুইডেন!

এবিএনএ : সব দেশের চাওয়া বর্জ্যমুক্ত নির্মল পরিবেশ, আর দেশে বর্জ্যের অভাব দেখা গেলেতো সেটা বিরাট এক অর্জন হিসেবেই বিবেচিত হওয়ার কথা। তবে সুইডেনের জন্য হয়েছে বিড়ম্বনার, বর্জ্যের অভাবে দেশটির অত্যাধুনিক পুনরুৎপাদন (রিসাইক্লিং) কারখানাগুলো রীতিমতো অচল হয়ে গেছে।
আর সেই রিসাইক্লিং ফ্যাক্টরির কাজ অব্যাহত রাখতে সেটি পৃথিবীর অন্য দেশ থেকে বর্জ্য আমদানি করছে দেশটি। সুইডেনের ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত হয়, এবং পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসেবে ১৯৯১ সালে ফসিল জ্বালানির উপর করারোপ কতরে দেশটি।
সুইডেনের রিসাইক্লিং ব্যবস্থা এতটাই অত্যাধুনিক যে মাত্র ১ শতাংশ বর্জ্য, ময়লা ফেলার পরিত্যক্ত স্থানে পাঠানো হয়েছে। সুইডিশ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অ্যাসোসিয়েশনের যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক আন্না কারিন গ্রিপওয়াল বলেন, সুইডেনের মানুষ প্রকৃতিপ্রেমী এবং প্রকৃতি ও পরিবেশ ইস্যুতে কী করা উচিত সেই বিষয়ে সচেতন। আমরা অনেকদিন ধরে চেষ্টা করে মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যাতে মানুষ কিছু বাইরে না ফেলে। এতে আমরা সেগুলো সংগ্রহ করে পুনরুৎপাদন ও পুনঃব্যবহার নিশ্চিত করতে পারি।
সুইডেন এমন একটি পুনরুৎপাদন নীতি গ্রহণ করেছে যার মাধ্যমে বর্জ্য আমদানি ও পোড়ানোর কাজ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো করে থাকে। বর্জ্য পোড়ানোর তাপ থেকে উৎপাদিত শক্তি একটি জাতীয় নেটওয়ার্কে সঞ্চিত হয় যার মাধ্যমে অত্যধিক শীতের মধ্যে মানুষের বাড়িতে উষ্ণতা পৌছে দেয়া হয়।
গ্রিপওয়াল বলেন, আমাদের জেলা পর্যায়ে এই কারণেই নেটওয়ার্কগুলো রয়েছে যার মাধ্যমে আমরা বর্জ্য পোড়ানোর প্ল্যান্টগুলো থেকে উৎপাদিত তাপ ব্যবহার করতে পারি। ইউরোপের দক্ষিণের কেউ বর্জ্য থেকে উৎপাদিত তাপ ব্যবহার করে না, সেটা কেবল চিমনিতে পুড়িয়ে ফেলা হয়। আমরা এখানে এটি তাপ উৎপাদনে ফসিল জ্বালানির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করি।
যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশ থেকে এই উদ্দেশ্যে বর্জ্য আমদানির পরিকল্পনার সুইডিশ নীতি একটি সাময়িক ব্যবস্থা উল্লেখ করে গ্রিপওয়েল বলেন, ময়লা ফেলার ভাগাড় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে নিষিদ্ধ, এই জন্য তারা জরিমানা দেয়ার বদলে আমাদের কাছে বর্জ্য পাঠায়। তাদের নিজেদের প্লান্ট তৈরি করা উচিত এবং সুইডেনে যেভাবে আমরা বর্জ্য কমানোর জন্য চেষ্টা করি সেটা অনুসরণ করে তারাও এমনটা করবে।
Share this content: