জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

হাওর নিয়ে উত্তেজনা অকারণে: পানিসম্পদমন্ত্রী

এবিএনএ : হাওরে অকালবন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পাউবোসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দোষারোপকারীদের তীব্র সমালোচনা করেছেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, হাওর নিয়ে পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত অনেকেই তাঁদের কথাবার্তায় দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেননি। বাস্তবানুগ কথা বলেননি। এটা নিয়ে অকারণ উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) মিলনায়তনে পানিসম্পদ-সংক্রান্ত এক সম্মেলনে কথাগুলো বলেন মন্ত্রী। আজ বুধবার ‘বাংলাদেশের টেকসই পানিসম্পদ: প্রাপ্যতা, ব্যবস্থাপনা ও অভিগম্যতা’ শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজন করে পিকেএসএফ, বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ ও এনজিও ফোরাম।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এখন হাওরে যে ধান হয়, এটি পাকতে সময় লাগে পাঁচ মাসের বেশি। এর সুরক্ষাতেই ডুবন্ত বাঁধ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। হাওরের বাঁধগুলো যে ডুবন্ত, সে কথা কোনো পানি বিশেষজ্ঞ একবারও উল্লেখ করেন না।
পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন, অনেকেই বলেছেন হাওরে নাকি কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। সুনামগঞ্জে বাঁধের জন্য দিয়েছি ২০ কোটি টাকা। এই পরিমাণ টাকা যদি শত শত কোটি টাকা হয় তাহলে তো ভালোই।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এবার চেরাপুঞ্জিতে মাত্র সাত দিনে মোট বৃষ্টিপাতের ২০ শতাংশ হয়েছে। হাওর অঞ্চলে একযোগে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। সুনামগঞ্জ থেকে চেরাপুঞ্জির দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। এই অতিবৃষ্টির ফলে প্রবল বেগে পানি চলে এসেছে। কোনো বিশেষজ্ঞকে এই অতিবৃষ্টির কথাটি বলতে শুনিনি। তিনি বলেন, অনেককে বলতে শুনেছি, আগে থেকে সতর্কতা জারি করা হলো না কেন। এটা কী ব্রহ্মপুত্রের পানির ঢল না বিহারের বন্যা যে আগাম বার্তা দেওয়া যাবে?
অনুষ্ঠানে গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় পানি সম্মেলনে আসা বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে তৈরি বই প্রকাশ করা হয়। পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম, পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিম, এনজিও ফোরামের নির্বাহী পরিচালক এস এম এ রশীদ, বিইউপির নির্বাহী পরিচালক নিলুফার বানু, পিকেএসএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

Share this content:

Related Articles

Back to top button