
এবিএনএ : যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমিত রাজ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল নর্থ ক্যারোলিনা। এখনও প্রায় এক লাখ ৭৮ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত। মঙ্গলবারও নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এক হাজার জন। ভয়ংকর এ অবস্থার মধ্যেই মাস্ক ছাড়ায় সেখানে নির্বাচনী প্রচার চালালেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, স্থানীয়ভাবে ৫০ জনের অধিক মানুষের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ট্রাম্পের সমাবেশে যোগ দেয় কয়েকশ’ মানুষ। সমর্থকদের অনেকেই পরেননি মাস্ক। খবর গার্ডিয়ানের।
উইন্সটন সালেমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সফরের খবর পেয়ে স্থানীয় কাউন্টি কমিশনের রিপাবলিকান চেয়ারপার্সন ডেভ প্লাইলার আগেই তাকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছিলেন। করোনাভাইরাস ঠেকাতে ওই এলাকায় মাস্ক পরার নিয়ম চালু রেখেছে স্থানীয় সরকার।উইন্সটন-সালেম জার্নালকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডেভ প্লাইলার বলেছিলেন, ‘গভর্নর এ নির্দেশনা দিয়েছেন। আপনি যখন রোম যাবেন তখন রোমানদের মতো চলতে হবে। যখন নর্থ ক্যারোলিনায় যাবেন, তখন গভর্নর যা বলেন তা শুনতে হবে। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তবে তিনি আমাদের কাউন্টির একজন অতিথিও। এখানে মাস্ক না পরলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। আর এর জন্য গভর্নরকে দায়ী করতে পারেন তিনি।’
ডেভ প্লাইলারের সে আহ্বানে সাড়া দেননি ট্রাম্প। মঙ্গলবারের সমাবেশে ট্রাম্প নিজে তো মাস্ক পরেনইনি, উল্টো ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা মানছেন দেখে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করেছেন। সম্প্রতি বাইডেন একটি স্কুলের জিমনেসিয়ামে সমাবেশ করেছেন। সেখানে উপস্থিত হওয়া সবাইকে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা মেনে চলতে দেখা গেছে। এ নিয়ে উপহাস করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আপনারা কখনও বৃত্ত আঁকা জিমনেসিয়াম দেখেছেন?’ মঙ্গলবার ট্রাম্প যখন সমাবেশে যোগ দেন তখন সমর্থকরা ‘নকিং অন হ্যাভেন’স ডোর’ গানটি বাজিয়ে তাকে স্বাগত জানান। সে সময় দেশজুড়ে চলা বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ নিয়েও বিদ্রূপ করেন তিনি। নিজের সমাবেশে শত শত মানুষের জমায়েতকে ন্যায্যতা দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ট্রাম্পের দাবি, পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের জমায়েত যখন গ্রহণযোগ্য, তখন তার সমর্থকদের জমায়েতও ঠিক আছে।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল অতিরঞ্জিত। নর্থ ক্যারোলিনাতে মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা জারি রয়েছে। গির্জাগুলো খুলে দেয়া হলেও সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়। নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব : ২০২১ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরাইলের ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তিতে মধ্যস্থতা করায় শান্তি পুরস্কারের জন্য তার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
বুধবার এক খবরে এমন তথ্যই জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ। ফক্স নিউজের বরাত দিয়ে স্কাই নিউজ জানিয়েছে, নরওয়ের রাজনীতিবিদ ক্রিস্টিয়ান টিব্রিং-জেড্ডে এ বছর নোবেল পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেন। দেশটির নির্বাচিত চারবারে সংসদ সদস্য টিব্রিং-জেড্ডে বলেন, তার যোগ্যতা সম্পর্কে বলতে গেলে, আমি মনে করি দেশে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি যে চেষ্টা করেছেন, তা শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়নপ্রাপ্ত বেশিরভাগ মানুষের চেয়ে বেশি। এর আগে গত ১১ আগস্ট ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। এই দুই দেশের ‘ঐতিহাসিক চুক্তির’ কথা ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Share this content: