,
প্রচ্ছদ | জাতীয় | আন্তর্জাতিক | অর্থনীতি | আমেরিকা | লাইফ স্টাইল | ভিডিও নিউজ | ফিচার | আমেরিকা | বিনোদন | রাজনীতি | খেলাধুলা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | শিক্ষা

ফেসবুক-টুইটার নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প

এবিএনএ : ফেসবুক-টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ সৃদৃঢ় করতে একটি নির্বাহী আদেশ সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এই আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এই আদেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আইনগত কিছু সুরক্ষা হারাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। এছাড়া ওই নির্বাহী আদেশে ফেসবুক- টুইটারের মত সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার বিষটিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট কোম্পানিগুলোকে দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেই এমন আদেশে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
তবে ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এই আদেশে সইয়ের পর ওভাল অফিস থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, সামাজিক যোগাযোগের কয়েকটি মাধ্যম একচেটিয়াভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সব সরকারি-বেসরকারি যোগাযোগের বিস্তৃত অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণ নাগরিক এবং বৃহত্তর জনসাধারণের মধ্যে যেকোনো প্রকার যোগাযোগ সেন্সর, সীমাবদ্ধকরণ, সম্পাদনা, আকার পরিবর্তন, লুকানো, বদলে দেয়া, মূলত পরিবর্তন আনার অপরীক্ষিত ক্ষমতা রয়েছে তাদের হাতে।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন ডান ও বামপন্থী আইনজীবীরা। তারা বলছেন, এটি অসাংবিধানিক হতে পারে। কারণ এ আদেশে বেসরকারি সংস্থাগুলোর অধিকার আইনের প্রথম সংশোধনী লঙ্ঘনের ঝুঁকি রয়েছে এবং এটি সরকারের আরও দুটি শাখা অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে।
ওরেগনের ডেমোক্রেট সিনেটর রন ওয়াইডেন বলেন, কয়েক দশক আগে মীমাংসিত আইন নতুন করে লিখতে তিনি (ট্রাম্প) আদালত ও কংগ্রেসের ক্ষমতা নিজের জন্য চুরি করার চেষ্টা করছেন। নিজের স্বার্থে কীসের আইনি ভিত্তি আছে সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি।
সম্প্রতি প্রথমবারের মতে ট্রাম্পের পোস্টকৃত দুটি টুইটে ফ্যাক্ট চেক ট্যাগ লাগিয়ে দেয় টুইটার। এরপরই এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হুঁশিয়ারি দেয়ার একদিন পর ওই নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প।
মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দুটি টুইটের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে টুইটার কর্তৃপক্ষ। ওই দুটি টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছিলেন, মেইলে পাঠানো ব্যালটে কারচুপির সুযোগ থাকবে। পরে টুইট দুটির নিচে টুইটার কর্তৃপক্ষ লিখেছে, মেইলে পাঠানো ব্যালট সম্পর্কে সঠিক তথ্যাদি জেনে নিন। ওই কথায় ক্লিক করলেই একটি ফ্যাক্ট চেক পৃষ্ঠায় ল্যান্ড করছে নেট ব্যবহারকারীরা। সেখানে আরও কয়েকটি লিঙ্ক দেয়া হয়েছে, যেগুলোতে ক্লিক করলে ট্রাম্পের বক্তব্য খণ্ডনকারী খবর ও নিবন্ধগুলো পড়ার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। টুইটে জানানো ভুল, বিভ্রান্তিকর বা খতিয়ে না দেখা তথ্যাদি পরিবেশন বন্ধ করতে যে টুইটার বদ্ধপরিকর, সে কথাও সেখানে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এরপরই বুধবার সোশাল মিডিয়া বন্ধের হুশিয়ারি দেন ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে ডানপন্থীরা সেন্সরশিপের শিকার হচ্ছেন। ট্রাম্প বলেন, রিপাবলিকানরা মনে করছে যে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো রক্ষণশীল মতামত রুদ্ধ করতে চাইছে। এমনটা ঘটার আগে আমরা তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো বা বন্ধ করে দেবো।
হুঁশিয়ারি দেয়ার পরদিনই ওই নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প।

Share this content:

Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali
Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal
Executive Editor : Mehedi Hasan
E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag, 2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka. Usa. Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Server mannarged BY PopularServer
Design & Developed BY PopularITLimited