এবিএনএ: ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নতুন এই দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে। এ জন্য জনগণের মতামত নিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। রাজধানীর বাংলামোটরে সংগঠনের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখপাত্র সামান্থা শারমিন উপস্থিত ছিলেন।
নতুন দল গঠনের উদ্দেশ্যে সারা দেশের নাগরিকদের মতামত গ্রহণের কর্মসূচি ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। এর আগে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে। আপনি কেমন দল চান আমরা তা জানতে চাই এবং সে আদলেই দলটি গড়তে চাই। কমেন্টে দেয়া ফরমে আপনার মতামত জানান। ফরমটি পূরণ করতে মাত্র ৫ মিনিট সময় লাগবে।’
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মধ্যে গেল বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের দেড় দশকের শাসনামলের অবসান ঘটে। ক্ষমতার পালাবদলের এক মাস পর সেপ্টেম্বরে আন্দোলনের নেতাদের নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কমিটি গঠন করে সংগঠনের বিস্তৃতিও ঘটিয়েছেন তারা।
এরপর থেকে ছাত্রদের নেতৃত্বে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হচ্ছে বলে আলোচনা ব্যাপকভাবে প্রচার হয়। সম্প্রতি একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে প্রথমবারের মতো কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নতুন এই দলকে ঘিরে ছাত্রদের মধ্য থেকে দুই উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের পদত্যাগের কথাও শোনা যায়। তবে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত তারা এখনো নেননি।
এদিকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের পক্ষ থেকে বলা হয়, নাগরিক কমিটি কিংবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনোটিই শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হবে না। বরং স্বতন্ত্র সংগঠন হিসেবেই থেকে যাবে। এই দুটি সংগঠন থেকে যারা রাজনীতিতে অংশ নিতে ইচ্ছুক তারা নতুন দলে যোগ দেবেন।